সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মন্ত্রীদের বাড়িতেও লোডশেডিং করা হোক। প্রধানমন্ত্রী এটি করলে ব্যক্তিগতভাবে আমি সমর্থন দেব। জনগণের বাড়িতে লোডশেডিং হলে মন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে কেন হতে পারে না। যেটা যুক্তিযুক্ত সেটাই করা উচিত। সচিবালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি তো বলি মন্ত্রীদের বাড়িতেও লোডশেডিং করা হোক। এটি প্রধানমন্ত্রী করলে ব্যক্তিগতভাবে আমি সমর্থন দেব। মন্ত্রীদের বাড়িতেও লোডশেডিং হতে পারে। জনগণের বাড়িতে লোডশেডিং হলে মন্ত্রী-এমপিদের বাড়িতে কেন হতে পারে না। যেটা যুক্তিযুক্ত সেটাই আমাদের করা উচিত। তিনি বলেন, সবাই একটু বাস্তববাদী হোন, কৃচ্ছ্রতা সাধন করুন। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার করা ঠিক নয়। যারা অতিরিক্ত গাড়ি ব্যবহার করছেন ফিরিয়ে দিন। অতিরিক্ত তেল যারা ব্যবহার করছেন, আর করবেন না। কাদের বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা দুনিয়ায় আজ অস্থিরতা বিরাজমান। এই বাস্তবতার প্রভাব আমরা অস্বীকার করি না। আমাদের নেত্রী বলেন, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। একবারও কি ফখরুল (বিএনপি নেতা) মানুষের কথা বলেছেন? মানুষের কষ্টের সারথি আজ আওয়ামী লীগ। আমরা মানুষের কথা বলছি। দিবা-রাত্রি তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কাজ করে যাচ্ছেন, পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা রাজনীতি করি দেশের মানুষের জন্য। ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে বিএনপি। তিনি বলেন, আমরা যারা এ দেশে রাজনীতি করি, রাজনীতিকরা দায়িত্বশীল হব। কথা কৃতিত্ব করে, কথা নেতৃত্ব দেয়, আবার কথাই সর্বনাশ ডেকে আনে। দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা সর্বনাশ ডেকে আনে। সবাইকে বলব কথা-বার্তা বলতে হবে দায়িত্বশীলভাবে। দায়িত্বজ্ঞানহীন, কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দেবেন না। দায়িত্বহীন একটা কথায় দেশের অনেক ক্ষতি হতে পারে, বন্ধুত্ব নষ্ট হতে পারে। এ ব্যাপারে আমরা সবাই সতর্ক থাকব।