দেশের মধ্যে থাকা বিরোধী শক্তিরাই বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। খোঁজ নিয়ে এদেরকে কঠোরভাবে দমন করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের প্রধান সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, যথা সময় সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কারো কোনো দাবি যদি সংবিধান অনুযায়ী থাকে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু সংবিধান বাইপাস করে একটি দলকে নির্বাচনে আনা সম্ভব না । আমু বলেন, আজ যারা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, এগুলো কাদের সৃষ্টি? আপনারা খোঁজ নেন। এই যে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, মালিক শ্রেণি—এরা কারা? এরা বিরোধী শক্তি। কিন্তু সরকারের উচিত এদের কঠোরভাবে দমন করা। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী হলো বিএনপির সৃষ্টি এখন তারা সক্রিয় আছে। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আজ বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে বারবার। তারা কীভাবে বলে এ কথা? ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়াই এটা বাদ দিয়েছিল। ১৫ আগস্ট কেন সংগঠিত হয়েছিল? এটা সংগঠিত হওয়ার কারণেই আমরা যেসব অসুবিধা ভোগ করছি, এগুলো সব সেদিনকার ফসল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যারা এ দেশে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এসেই জাতীয় চার মূলনীতি ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। ১৪ দলের এই সমন্বয়ক বলেন, এই দেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা, ভোটের নামে হ্যাঁ-না যে দিন শুরু হলো, সে দিন থেকেই ভোটের কারচুপি এবং স্লোগান উঠেছিল ‘এক হুন্ডা দুই গুন্ডা এক স্টেনগান ভোট ঠান্ডা’। জিয়াউর রহমান যে তখন ক্ষমতায় এসেছিল সেটা অবৈধভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে নয়। আজ যারা বড় বড় কথা বলছেন, ভোট ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের সামনে না গিয়ে বাইরে যারা বিবৃতি দিচ্ছেন, তাদের চেহারাগুলো আয়নায় দেখেই বলতে পারছেন। আমু বলেন, যারা ১২ দিন ভোট কারচুপি করে, হাইজ্যাক করেছিল তারাই আজ বড় বড় কথা বলে। যারা আজ গুম হত্যার কথা বলে, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত জোট যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড এবং নারী নির্যাতন করেছিল, সেটা শুধু বাংলাদেশে সীমাবদ্ধ ছিল না বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয়েছিল। আলোচনা সভায় বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী কমরেড দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডা. শহীদুল্লাহসহ ১৪ দলের নেতারা।