পাবনা প্রতিনিধি :
রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়ম, স্থানীয়দের বাধা, উপজেলা প্রকৌশলীর আশ্বাসে নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু। অনন্ত বাঁধ থেকে দ্বীপচর আনিসের মোড় পর্যন্ত ৫,৫০কিঃমিঃ রাস্তা পুনঃনর্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৭কোটি ৫৬লাখ ৯০ হাজার টাকা। নির্মাণ কাজে অনিয়মের বিষয়ে জানার জন্য এই প্রতিবেদক অনুসন্ধানী গেলে সেখানে দেখা যায়, অনন্ত ও দ্বীপচর এলাকার সচেতন মানুষ নির্মাণ কাজে অনিয়ম করায় কাজ বন্ধ করে দেয়।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম ও এস/ও আব্দুল আজিজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টালের প্রতিনিধিগণ ঘটনাস্থল ইউনুস আলী স্কুল এন্ড কলেজ দ্বীপচরের সম্মুখে যান এবং ওইখানে এলাকার সচেতন মানুষ ,এলাকার জনপ্রতিনিধি ও ঐ এলাকার ইউপি সদস্য জিয়া সরদার সহ অসংখ্য লোক ভিড় করে আছেন। তাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মত বিনিময়ের একপর্যায়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে ওই কাজের বিভিন্ন জায়গায় খনন করে দেখেন।
সেখানে খোয়া ও বালু সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যে পরিমাণ মিশ্রন করার করে রাস্তায় বেড তৈরি করার কথা তা করেননি । সরোজমিনে উপজেলা প্রকৌশলী সামনেই অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় রাস্তা পুনরায় খোয়া ও বালু সংমিশ্রণ করে বেড তৈরির নির্দেশ দেন । উপস্থিত সাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলে আসেন এই রাস্তায় বিন্দুমাত্র অনিয়ম হবে না ।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী অর্থাৎ সিডিউল অনুযায়ী এ রাস্তা নির্মাণ হবে। কেউ না বুঝে তর্ক বাক-বিবাদে লিপ্ত হবেন না। স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ইতিপূর্বে এ রাস্তাটি কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হলেও নির্মাণের শেষে উদ্বোধনের ১-২মাসের মাথায় রাস্তা ধ্বংস হয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে রাস্তার। কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি । কোনো মানুষ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এই রাস্তায় যেতে চাইলেও সে রাস্তায় আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যায় ।
রাস্তায় এত খারাপ। বর্তমানে রাস্তার কাজ পুনঃনির্মাণের অনুমতি দেওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং পাবনা এমপিকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন । তবে এই রাস্তার পুনঃ নির্মাণ নিয়ে আশঙ্কা করেছেন। ক্রিস্টাল গ্রুপের মালিক সেলিম সাহেব কাজটি পেয়েছেন ।
নির্মাণকাজে এলাকার সাধারণ মানুষের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। স্থানীয় জৈনিক ব্যক্তি প্রকৌশলী সামনেই অভিযোগ করেন। পরিশেষে প্রকৌশলী ,এস ও এবং এলাকার জিয়া মেম্বর সহ উপস্থিত সকলেই একমত এ উপনীত হন যে এ রাস্তা কাজে বিন্দুমাত্র দুর্নীতি করতে দেওয়া যাবে না। উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম শতভাগ নিশ্চিত করে বলেন এই কাজগুলি তিনি সার্বক্ষণিক তদারকি করবেন এবং সিডিউল অনুযায়ী শতভাগ কাজ উপহার দিবেন তার জন্য উনি সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে প্রস্তুত বলে জানান।