আকবর চৌধুরী ( সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি):
এখন কোনো আন্দোলন থাকবেনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে সাত কলেজের কোন আন্দোলন হবে না। এখন আন্দোলন করলে কন্ট্রোলার আন্দোলন করবে। যদি তোমরা ক্লাস না করো । কলেজে না আসো। এখন লেখাপড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের বিপ্লব করতে হবে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে ঢাকা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাথে ৭ কলেজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাহালুল হক চৌধুরী বলেন, একাডেমিক ক্যালেন্ডার কলেজ প্রশাসন করবে। সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কলেজ তাদের ক্লাস দেবে। সিলেবাস শেষ করে দেবে। সিলেবাস শেষ করার পর পরামর্শ করে তাদের সিলেবাস শেষ হয়েছে কিনা তারপর আমরা পরীক্ষা নিব। কখনোই সিলেবাস শেষ না করে পরীক্ষা নেবে না ঢাবি।
রেজাল্ট দেরির বিষয়ে অনেক সময় দেখা যায় যে লাইনগুলো দেরিতে হয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে ল্যাবগুলো নেয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষা কমিটি করে দেয়া হয়েছে। তারা ভালো জানেন কীভাবে কখন পরীক্ষা নিতে হবে। যাতে দ্রুত রেজাল্ট দেয়া যায়। সমস্যার সমাধানে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।
মনিটরিং সেলের বিষয়ে তিনি বলেন, আসলে সাত কলেজের সবাই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে আসে না। অনেকে কৌতূহলবশত আসে। অনেকসময় শিক্ষকরা অনেক তথ্য দিতে পারে না। সেক্ষেত্রে গুটিকয়েক শিক্ষার্থী হয়তো আসেন। আমরা এসব সমস্যা সমাধানে যাতে কন্ট্রোলারের কাছে আসতে না হয় সেজন্য ফেসবুক পেজ খুলেছি। পেজের মাধ্যমে তথ্য জানাচ্ছি। অধ্যক্ষদেরকে তথ্য জানিয়ে দিচ্ছি। আর কখনো কন্ট্রোলে কাছে বা বিশ্ববিদ্যালয় আসতে হবে না। অনেক সমস্যা কলেজেই সমাধান হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো যে, তোমরা লেখাপড়া করো। তোমরা কলেজে ঘুরো। তোমরা শিক্ষকদের কাছে মানবিক আবেদন করো আমরা আপনাদের সন্তানের মতো। আমাদের ক্লাস নিন। কোর্স শেষ করে দিন।
চার বছরের পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সেভাবেই পদক্ষেপ নিয়েছি আগামী মাস্টার্স পরীক্ষা থেকেই ওএমআর শিটে পরীক্ষা হবে। এর মাধ্যমে পরীক্ষা নিতে পারলে আমরা দ্রুত ফলাফল গুলো দিতে পারব।