বর্তমান সরকার একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান পথের মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। মন্ত্রী ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের সমান্তরাল একটি ডুয়েল গেজ রেললাইন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। রেল মন্ত্রী বলেন, “নারায়ণগঞ্জে রেলের যেমন উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে, নৌপথ ও সড়কেরও অনেকগুলো প্রকল্প নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রিক আছে। এছাড়া পৌরসভার আওতায় রাস্তা, ব্রিজ নির্মাণসহ অনেক প্রকল্প বিদ্যমান। নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের সাথে রেলওয়ে নতুন স্টেশন, প্লাটফর্ম নির্মিত হচ্ছে। এখানে দুই সংস্থার মধ্যে যে মতানৈক্য আছে তা দেখার জন্যই আমরা এসেছি।” নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, অতীতের সরকারগুলোর ভ্রান্ত নীতির কারণে বিভিন্ন সংস্থাগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় ছিল না। একসময় কলকাতা থেকে ট্রেনে করে মালামাল গোয়ালন্দ ঘাটে আসতো, সেখান থেকে ফেরির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছালে আবার ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকায় মাল পরিবহন করা হতো। তখন একে অপরের উপর নির্ভরশীল ছিল। এখন পদ্মা নদীর ওপর রেল যোগাযোগ সংযোগ হচ্ছে। যমুনা নদীর উপর দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু রেল সেতু হচ্ছে। রেল ব্যবস্থা ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। পরিদর্শনের সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনসহ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।