সম্প্রতি রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা মেয়ের কবর জিয়ারত করতে যান আরমানুল হক। এ সময় তিনি লক্ষ্য করেন সেই জায়গায় তার মেয়ের কবরটি আর নেই। কয়েক মাসের ব্যবধানে হারিয়ে গেছে মেয়ের নাম লেখা সাইনবোর্ডও। একইসঙ্গে তিনি দেখতে পান তার দাদার কবরটিও একেবারে নিশ্চিহ্ন। কবরস্থানের কর্মচারীদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, এই স্থানে অন্য মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হয়েছে। আর তার মেয়ের লাশটি তুলে অন্য একটি কবরের ভেতরে রাখা হয়েছে। কারণ, কবর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসে মাসে যে টাকা দিতে হয় তা কয়েক মাস ধরে বন্ধ ছিল। যদিও ১০ থেকে ২৫ বছরের জন্য কবর লিজ নেয়া ছাড়া মাসিক ভিত্তিতে কবর সংরক্ষণের জন্য টাকা নেয়ার বৈধতা নেই। শুধু আরমানুল হক নন, তার মতো এমন অনেকেই আছেন; যাদের পরিবারের কোনো সদস্যকে দাফন করে নিয়মিত টাকা না দেয়ায় উধাও হয়ে গেছে কবর। অন্তত ২ বছর বিনামূল্যে কবর সংরক্ষণের নিয়ম রয়েছে। তবে মাসে মাসে টাকা না দিলে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই কবর গায়েব হয়ে যায় আজিমপুর কবরস্থান থেকে। এমনকি কবর থেকে লাশ কিংবা এর হাড়গোড় তুলে নিয়ে বিক্রি করে দেয়ার মতো চাঞ্চল্যকর তথ্যও উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। যেভাবে কবর হারিয়ে যায়: আরমানুল হক জানান, আজিমপুর কবরস্থানে বছরের ব্যবধানে তার ৬ মাসের এক কন্যা শিশুকে দাফন করা হয়। তার আগে তার দাদাকেও এই কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। টাকা দিয়ে কবর সংরক্ষণ করতে চাননি তিনি। তাই সর্বনিম্ন দুই বছর বিনামূল্যে কবর দৃশ্যমান রাখার জন্য কবরস্থানের কর্মচারীদের প্রতিমাসে টাকা দিতে হতো। কিন্তু করোনার কারণে কবরস্থানে কয়েক মাস যেতে না যেতেই নির্দিষ্ট সময় আসার আগেই তার মেয়ে ও দাদার কবর তুলে ফেলা হয়। আরমানুল হক বলেন, দাফনের সময় থেকেই কর্মচারীদের বখশিশের নামে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে। সর্বশেষ মেয়ের লাশ কবরস্থানে নেয়ার পর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছে। দাফনের জন্য সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত খরচ তো দিতেই হয়েছে। সেইসঙ্গে কর্মচারীদের বখশিশের নামে বারবার চাঁদা দিতে হয়েছে। কবর একটু দেবে গেছে সেটা ঠিক করার জন্য ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। একটু পানি দিয়ে কিংবা চারপাশে মাটি দিয়ে কবরটি রক্ষণাবেক্ষণ করবে সেটার জন্য প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে। মাত্র কয়েক মাস টাকা দিতে পারিনি বা করোনার জন্য কবরস্থানে যেতে পারিনি সেজন্য আমার মেয়ের কবরটা তারা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। দাদার কবরটাও আর নাই। বিষয়টি কর্মচারীদের জানালে তারা বলেন, কয়েকমাস গেলেই কবরের ওপর কবর দেয়া হয়, এটা স্বাভাবিক। যারা প্রতিমাসে এসে টাকা দিয়ে যায় তাদের কবর ঠিক থাকে। তিনি বলেন, স্বজনরা তার প্রিয় মানুষটিকে দাফন করে গেছে, একমাস দুই মাস বা তার আগেই কবর থেকে লাশ কিংবা হাড়গোর তুলে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। যেহেতু কবরস্থানে জায়গার তুলনায় অনেক মানুষকে কবর দিতে হচ্ছে। একটা কবরের জায়গায় আরেক মৃতকে দাফন করা হচ্ছে, সেই সুযোগে তারা কবরে থাকা লাশটি তুলে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। ভাঙা একটি কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া পড়ছিলেন এক ব্যক্তি। পরে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এক বছর আগে আমার মাকে এখানে দাফন করেছিলাম। কিন্তু কয়েক মাস পরে এসে দেখি সাইনবোর্ডে আরেকজনের নাম। কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আপনার মায়ের কবরের ভেতরে আরেকজনকে দাফন করা হয়েছে। সাইনবোর্ডটি হয়তো নষ্ট হয়ে গেছে। এখন শুধু সাইনবোর্ড বেঁধে দিয়ে যান। মাঝে মাঝে এসে দোয়া করে যাবেন। এটাই সিস্টেম। এখানে এক কবরে দুই তিনটা কিংবা আরও বেশি কবর আছে। তিনি বলেন, সাইনবোর্ডের জন্য আবার তারা টাকা চেয়েছিল কিন্তু আমি তাদের টাকা দেইনি। আল্লাহ জানে আমার মা’র কবর কোথায় আছে। আমি তাদের কথায় বিশ্বাস করতে পারি না। শোনা যায় এরা কবরের ভেতর আরেক কবর দেয়ার নামে আগের লাশের হাড়গোড় চুরি করে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। কথা হয় হাজারীবাগের একটি পরিবারের সঙ্গে। তারা ৫ ভাই-বোন মিলে এসেছেন বাবার কবর জিয়ারতের জন্য। একদিন আগেই দাফন করা হয়েছে তাদের বাবাকে। তারা জানান, দাফনের জন্য নির্ধারিত খরচ ছাড়াও কর্মচারীদের দিতে হয়েছে বখশিশ। এছাড়া কবর মাটি দিয়ে উঁচু করে বাধাই করার জন্য দিতে হয়েছে ৩ হাজার টাকা। এছাড়া কর্মচারীরা বলেছেন প্রতি মাসে ১-২ হাজার করে টাকা দিলে তারা কবরটি সুন্দর করে সংরক্ষণ করে রাখবেন। তারা জানান, আমরা তো গরিব মানুষ। প্রতি মাসে এতো টাকা দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তারা আফসোস করে বলেন, এমনিতেই তো দুই বছর কবর রাখার কথা। তাহলে কেন প্রতি মাসে টাকা দেবো? কবর ভেঙে পড়ুক বা মাটিতে দেবে যাক, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তো কবরটি রাখা যায়। অথচ তার আগেই কবর ভেঙে অন্য কাউকে দাফন করবে। দাফনের অতিরিক্ত খরচ, বখশিশের নামে চাঁদাবাজি: মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফন এবং কবর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অতিরিক্ত খরচের চাপ হাপিয়ে তুলেছে স্বজনহারাদের। এক্ষেত্রে কবরস্থানের কর্মচারীদের কাছে অসহায় তারা। একদিকে মাসে মাসে টাকা না দিলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় কবর। অন্যদিকে দাফন-কাফনের নির্ধারিত খরচের বাইরেও মৃতের স্বজনদের কাছ থেকে কৌশলে আদায় করা হয় হাজার হাজার টাকা। নিয়মিত কবরে পানি দেয়া আর সামান্য পরিষ্কারের জন্যও প্রতি মাসে নেয়া হয় মাসোহারা। আজিমপুর কবরস্থানে আগে দাফন-কাফন করা যেতো বিনামূল্যে। তবে করোনাকালে কবরের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের অক্টোবরে হঠাৎ করেই দাফন-কাফনের বিনিময়ে টাকা নেয়ার কথা জানায় সিটি করপোরেশন। তখন থেকেই প্রতি কবরের জন্য সাধারণ রেজিস্ট্রেশন ফি ধরা হয় ১ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতি কবরের বাঁশ, চাটাই ও কবর খননের ফিসহ লাশের সাইজ অনুযায়ী দাফনের খরচ পড়ে ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকা। বাঁশ, চাটাই ও কবর খননের খরচ ডিএসসিসি কর্তৃক নিয়োজিত ঠিকাদারের নির্ধারিত মূল্যের মধ্যেই ধরতে হয়। অন্যদিকে কেউ কবর সংরক্ষণ করতে চাইলে সর্বনিম্ন খরচ ৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে ডিএসসিসি। আর সংরক্ষিত কবরে পুনঃ কবর দিতে হলেও দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। ধার্যকৃত এই খরচ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও বেশিরভাগই কবর সংরক্ষণ করতে পারেন না। তবে অন্তত দুই বছর পর্যন্ত কবর দৃশ্যমান রাখার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার না হতেই কবর নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এ অবস্থায় মৃতের স্বজনরা জিয়ারতের জন্য গিয়ে কবর না পেয়ে গভীরভাবে ব্যথিত হলেও কারও কাছে অভিযোগও দিতে পারেন না। স্বজনদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে কবরস্থানজুড়ে গড়ে উঠেছে রমরমা এই কবর বাণিজ্যের একটি সিন্ডিকেট চক্র। চক্রটি সিটি কর্পোরেশনের কর্মী পরিচয়ে কবর দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলে মানুষের কাছ থেকে বখশিশের নামে মাসোহারা আদায় করে থাকে। এদের সঙ্গে জড়িত সিটি কর্পোরেশনের নিযুক্ত কিছু কর্মী ছাড়াও রয়েছে বহিরাগত কিছু সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটে কারা?: আজিমপুর কবরস্থান ঘুরে দেখা যায়, কবরস্থানে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের চেয়ে বহিরাগত লোকজনই বেশি। তাদের কেউ কবর খুঁড়ছেন, কেউ আবার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছেন। নতুন-পুরাতন কবরগুলো মাটি ও দুর্বা ঘাস দিয়ে বেঁধে দিচ্ছেন কেউ কেউ। জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, তারা সবাই এখানে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। স্থানীয় নেতা অথবা সিটি করপোরেশনে চাকরি করে এমন কারো সঙ্গে হাত করে কবরস্থানে কাজ করছেন তারা। এরা বেশিরভাগ সময়ই মৃতের স্বজনদের কাছ থেকে নানান ফন্দি এঁটে টাকা আদায় করে। কোনো কবর ভেঙে গেলে কিংবা দেবে গেলে মৃতের স্বজনরা ঠিক করতে বললেই তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চান তারা। টাকা না দিলে সেসব কবর থেকে হাড়গোড় তুলে নিয়ে বিক্রি করে দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তবে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, কবরস্থানে বহিরাগতদের কাজ করার অনুমতি নেই। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সিটির প্রধান সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন বলেন, বহিরাগত কাউকে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়নি। আজিমপুর কবরস্থানের ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, কবরস্থানে সিটি করপোরেশনের লোকবল কম। সেজন্য অনেক বহিরাগত কাজের সুযোগ পায়। এটা নিয়মে নেই, তবুও স্থানীয়দের অনেকে প্রভাব খাটিয়ে এখানে কাজ করে। স্থানীয় নেতারা অনেককেই কাজের সুযোগ দেয়। তারাই এখানে কিছু অনিয়ম করে। কবর থেকে লাশ কিংবা হাড়গোড় নিয়ে বিক্রি করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার বলেন, এটি আমাদের কবরস্থানে হয় না। অন্য কোথাও হতে পারে। আমার এখানে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। কবরের পবিত্রতা রক্ষা হয় না: কবরস্থান ঘুরে দেখা যায়, কর্মচারীরা কবরের পাশে বসেই আড্ডায় মেতেছে। স্মার্টফোনে অনলাইনে ভিডিও দেখছেন কবরের উপরে বসেই। কাউকে কাউকে ধুমপানও করতে দেখা যায়। কবরস্থানের ভেতরে অনেকগুলো কুকুরের বিচরণও দেখা যায়। কবর সংরক্ষণ শুধু বিত্তবানদের জন্য: মৃত্যুর পর কবরে সমাহিত হলে মাটিতে বিলীন হয়ে যায় মানবদেহ। তবুও মানসিক প্রশান্তির জন্য হলেও প্রিয় মানুষের কবর সংরক্ষণ করতে চান তার স্বজনরা। কিন্তু রাজধানীতে কবর সংরক্ষণের খরচ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। তাছাড়া সংরক্ষিত কবরের জায়গা অনেক আগেই পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। অনেক বিত্তবানরা আবার অগ্রিম কিনে রেখেছেন তাদের কবরের জায়গা। তারপরও বিশেষ বিবেচনায় কবর কেনার সুযোগ রেখেছে সিটি করপোরেশন। যার মূল্য ৫ লাখ থেকে শুরু করে ২৫ লাখ পর্যন্ত। বেশিরভাগ মানুষের এতটাকা দিয়ে কবরের মাটি কেনার সামর্থ্য থাকে না। সিটি করপোরেশন এই খরচ ধার্য করলেও বাস্তবে যে কারও পক্ষে কবর সংরক্ষণের অনুমতি পাওয়া যেন সোনার হরিণ পাওয়ার মতো। কারণ, অনেক বিত্তবানরা অগ্রিম কিনে রেখেছেন কবরের জায়গা। ফলে সাধারণ মানুষের কবর সংরক্ষণের সুযোগ নেই। তাছাড়া লাখ লাখ মানুষের বিপরীতে রাজধানীর কবরস্থানগুলোতে যে পরিমাণ জায়গা নির্ধারিত, তা একেবারেই অপ্রতুল। তাই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই একজনের সমাহিত স্থলে জায়গা হয় আরেক জনের। এতে স্বজনদের মধ্যে এক ধরনের চাপা কষ্ট থেকেই যায়। ভবিষ্যতে রাজধানীতে কবরস্থানের জায়গার সংকট আরও প্রকট হওয়ার শঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কবরস্থানে সাধারণ কবরের জন্য বরাদ্দ জায়গাগুলো ঘুরে দেখা যায়, অনেক কবরের ওপর দুই-তিনটি করে সাইন বোর্ড টানানো। অর্থাৎ একেকটি কবরে জায়গা হয়েছে দুই বা ততোধিক মানুষের। তবে সাধারণ কবরের এলাকাতেও টাকা দিয়ে সংরক্ষণ করা আছে অনেক কবর। আর সংরক্ষিত জায়গাগুলো অনেক আগেই পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। রয়েছে অগ্রিম বুকিং দেয়া কবর। এছাড়া কবরস্থানের সামনের অংশের অনেক জায়গাই অগ্রিম বুকিং দিয়ে রাখতে দেখা যায়। সামনের অংশে অনেক জায়গা ফাঁকা থাকলেও এ অংশে সাধারণ মানুষদের দেয়া হয় না কিংবা সংরক্ষণের যে খরচ ধরা হয়েছে তা সাধারণ মানুষের পক্ষে কেনা সম্ভব হয় না। ঢাকার মোট ৯টি কবরস্থানের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় পড়েছে ৩টি। এগুলো হলো- আজিমপুর কবরস্থান, জুরাইন কবরস্থান ও খিলগাঁও কবরস্থান। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় আজিমপুর কবরস্থান। কবরস্থানের ইনচার্জ মাওলানা হাফিজুর রহমান জানান, এখানে সাধারণ কবরের ধারণ ক্ষমতা ২৫ হাজারটি। আর সংরক্ষিত কবর রয়েছে ২ হাজার ৬০০টি। এই কবরস্থানের পাশেই শুধুমাত্র সংরক্ষিত কবরের জন্য তৈরি করা হয়েছে আরেকটি কবরস্থান। এখানে সংরক্ষিত রয়েছে ২ হাজার ৫০টির বেশি কবর। প্রতিদিন এখানে গড়ে অন্তত ২৫টির মতো লাশ দাফন হয়ে থাকে। দক্ষিণ সিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমানে ১০ বছরের জন্য কবর সংরক্ষণ করতে চাইলে দিতে হবে ৫ লাখ টাকা। ১৫ বছরের জন্য দিতে হবে ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ২০ বছরের জন্য ১৫ লাখ এবং ২৫ বছরের জন্য ২০ লাখ টাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১০ বছরের বিনামূল্যে সংরক্ষণের সুযোগ দেয়া হয়েছে।