মো আরিফুল ইসলাম,রাঙামাটি প্রতিনিধি
অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমানে সফল হয়েছেন রাঙামটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো আব্দুল জব্বার সুজন।তাকে নিয়ে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের জাল বোনার দুঃস্বপ্নটাকে মিথ্যা প্রমান করে দিয়েছেন তিনি।
বিগত কিছুদিন আগে মো আব্দুল জব্বার সুজনকে ঘিড়ে ২০ টি এসি আত্নস্বাতের একটি খবর কিছু গণমাধ্যম প্রকাশ পেলে তাকে ঘিরেই রাঙামাটি আওয়ামী পরিবারে ধোয়াশার জাল সৃষ্টি হয়।
এর ভুক্তভোগীসহ বিভীন্নসুত্র থেকে খবর নিয়ে জানা যায়,
হান্নান মিয়া নামক জৈনেক ব্যবসায়ী ঢাকার মিরপুরে সাকিরা ইলেট্রনিক্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মূলত এসির ব্যবসা করেন তিনি। সম্প্রতি বিক্রয় ডটকমের মাধ্যমে শাহীন নামের এক ব্যক্তি তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের জন্য মাওরুম ট্রেডার্সের মাধ্যমে ২০টি এসি সরবরাহ করতে বলেন। এরপর মহসিন ও শাহীনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এক লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’তে প্রথম দফায় ৯টি ও দ্বিতীয় দফায় ১১টি এসি সরবরাহ করার কাজ নেন তিনি।
কথা ছিল— মালামাল রাঙ্গামাটি পৌঁছালে শাহীন তাকে বাকি টাকা পরিশোধ করবে। কিন্তু ১৭ এপ্রিল প্রথম দফায় মিডিয়া ব্র্যান্ডের ৯টি এসি রাঙ্গামাটি পৌঁছালে উক্ত শাহীন ছাত্রলীগ সভাপতি সুজনের নাম করে এসিগুলো রিসিভ করেন এবং বাকি এসিগুলো পাওয়ার পর টাকা শোধ করবেন বলে এসি ব্যবসায়ী হান্নানকে বলেন ।
পরদিনই হান্নান বাকি ১১টি এসি পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু রাঙ্গামাটি পৌঁছানোর পর এসিগুলো রিসিভ করা হলেও টাকা বুজে পাননি তিনি। এরপর উক্ত বিষয়টা নিয়ে থানায় অভিযোগ করলে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার মাধ্যমে বিষয়টার আসল রহস্য সামনে আসে এবং বিষয়টি চুড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি ঘটে।
বিগত ২৪শে এপ্রিল রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করা হয়।এসময় হান্নান মিয়া ৫০ টাকার একটি স্ট্যাম্পে তার লিখিত বক্তব্য পেশ করলে আসল রহস্য পরিষ্কার হয়ে যায়।উক্ত বক্তব্য থেকেই আসল রহস্যের উদঘাটন হয়।তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান, তার বিক্রিত ২০টি এসি আত্বস্বাতের ঘটনায় রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো আব্দুল জব্বার সুজন ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মহসীনুর রহমান দায়ী নয় এবং কিছু ব্যাক্তির যোগসাজশে তার পূর্বে দেয়া বক্তব্যটিও মিথ্যা ছিলো।এবিষয়ে তিনি তাকে প্রতারিত করার অভিযোগে শুধু শাহীনের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান।তার সাথে সাথে তিনি কিছু দুষ্কৃতীকারী ব্যাক্তির প্ররোচনায় সাংবাদিকদের দেয়া পূর্বের মিথ্যা বক্তব্যটিও প্রত্যাহার করে নেন বলে স্ট্যাম্পটিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে আব্দুল জব্বার সুজন বলেন,বিষয়টি সম্পুর্ন সাজানো মিথ্যা একটি নাটক।উক্ত ঘটনার সাথে আমার কোনরকম সম্পৃক্ততা না থাকা সত্বেও কিছু ব্যাক্তি নিজস্ব ব্যাক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য জৈনেক ব্যবসায়ী হানানকে ব্যবহার করে আমার নামে এসব কুরুচিপূর্ণ সংবাদ সাজিয়েছেন।যদিও আমি অপরাধী হতাম তাহলে তারা ব্যাক্তি আমাকে নিয়ে সংবাদ করতে পারত কিন্তু তারা সেটা না করে আমার প্রানের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নামটি ব্যবহার করে সংগঠনটির উপরে কলঙ্ক লেপন করার চেষ্টা করেছে।যা অত্যান্ত দুঃখজনক ও স্পর্শকাতর বিষয়।
তিনি আরো বলেন,আমি দোষী প্রমানিত হবার আগেই যারা আমাকে নিয়ে এরূপ বিব্রতকর সংবাদগুলো করে আমার ও প্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন আমি অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত সাহায্য নেব। কারন এসব দুষ্কৃতীকারীরা শুধু আমাকেই নয় এর আগেও একাধিকবার আমার মাননীয় এমপি মহোদয় জননেতা দীপঙ্কর তালুকারসহ অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নিজস্বার্থ চরিতার্থ করার
জন্য এ জাতীয় সংবাদের আশ্রয় নিয়েছেন।সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে পুঁজি করে এরা সম্পুর্ন রাঙামাটিতেই নিজেদের কতৃত্ব প্রকাশের জন্য সমাজের বিভিন্ন সম্মানিত ব্যাক্তিদের এভাবে হয়রানী করে আসছেন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
উক্ত অভিযোগের বিষয়টা রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই মো মাসুদের উপস্থিতিতে সমাধান হয়েছে বলে থানা কতৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।