মো: রওশন আলী (সাভার)প্রতিনিধি:
হ্যান্ডিক্রাফট রপ্তানি নতুন নয়। তবে দিন দিন দেশ থেকে এ পণ্য রপ্তানি বাড়ছে। ঐতিহ্যগতভাবে আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেসব পণ্য তৈরি হয়, তার প্রচার প্রচারণা না থাকায় এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা হারিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যপারে সাভার পৌরসভার জামসিং এলাকার কেএইচএ হ্যান্ডিক্রাফটের ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, এ খাতে খুব কম বিনিয়োগ করা লাগে। এছাড়া বড় ধরণের মেশিনেরও দরকার হয় না।
তাই আমাদের যে জনশক্তি আছে তাকে কাজে লাগিয়ে এ খাতকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে হ্যান্ডিক্রাফটের সম্ভাবনা অনেক।
কারণ, এখানে অল্প টাকায় দক্ষ শ্রমিক পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে প্রচুর পরিমাণে হ্যান্ডিক্রাফট বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের পণ্য পরিচিত করার জন্য যে ধরণের উদ্যোগ নেওয়া দরকার সে ধরণের উদ্যোগের অভাব আছে বলে তিনি মনে করেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় অর্ধশতাধিক দেশে হ্যান্ডিক্রাফট রপ্তানি করেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। সাধারণত, বাংলাদেশ থেকে পাটের তৈরি পণ্য, বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন ধরণের বাস্কেট, ফ্লোর কাভারিংয়ের ম্যাট বা কার্পেট, নকশি কাঁথা ও নকশি বেডশিট এবং পুনপক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তৈরি কিছু পণ্য সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়।