এর আগে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিরোধীদল বিএনপির সাত নেতাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। যদিও দুর্নীতির দায়ে বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত দলটির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে আলাদা করে দাওয়াত দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সেতু বিভাগের পরিচালক (প্রশাসন) রুপম আনোয়ার। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়াকে আলাদা করে কোনো আমন্ত্রণপত্র দেয়া হয়নি। ড. ইউনুসকে যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে, আমরা সরাসরি উনার অফিসে পাঠিয়েছি, বুধবারই তা রিসিভ করা হয়েছে।” শনিবার পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য সাড়ে ৩ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হচ্ছে বলে জানান রুপম আনোয়ার। তিনি বলেন, “এর মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিদেশি কূটনৈতিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ অনেকে আছেন। পদ্মা সেতু তৈরিতে যারা বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন, যেসব বিদেশি কর্মী এই সেতু তৈরিতে পরিশ্রম করেছেন, তারাও আমন্ত্রিত হিসেবে থাকবেন।” এদিকে, আমন্ত্রণ পত্র বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র লামিয়া মোর্শেদ জানান, নোবেলজয়ী মুহম্মদ ইউনূসের নামে সেতু বিভাগের পাঠানো আমন্ত্রণপত্র তারা পেয়েছেন। এটা কালকে রিসিভ করা হয়েছে এবং স্যারের কাছে পৌঁছানো হয়েছে। তবে নোবেলজয়ী মুহম্মদ ইউনূস পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাবেন কি-না এ বিষয়ে লামিয়া মোর্শেদ বলেন, “উনি দেশেই আছেন। যাবেন কি না, সেটা আমাদেরকে এখনও জানাননি। তবে আমন্ত্রণপত্র তিনি রিসিভ করেছেন।”