স্বপ্নের পদ্মাসেতু চালুর পর পাল্টে যাচ্ছে মাওয়া-কাউরাকান্দি-কাঁঠালবাড়ি ঘাটের চালচিত্র। হারিয়ে যাবে ফেরি বা লঞ্চের হোটেলে বসে পেটচুক্তি খাবার খাওয়া। সবই তোলা থাকবে স্মৃতির পটে। সেতু পার হওয়ার সময় হয়ত সেই স্মৃতি নাড়া দেবে দক্ষিণ-পশ্চিমের মানুষকে। প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দিতে লঞ্চ বা ফেরিতে কয়েক ঘণ্টার যাত্রা। রসনা বিলাসে ডাল ভাত আর মাছ দিয়ে পেট পুরে খাওয়াই ছিল ভোজনরসিকদের আনন্দের খোরাক। ফেরিতে উঠে দোতলার হোটেলে বসে পদ্মার অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া অন্য রকম এক আনন্দ। অনেকের কাছেই গরম গরম ইলিশ ভাজার স্বাদ যেনো অমৃত সমান। শুধু ইলিশই নয় বিভিন্ন মাছ, মাংস এবং এর সাথে পেটচুক্তি ভাত আর পাতলা ডাল। এই খাবারই যেন ভুলিয়ে দিতো যাত্রীদের পথের কষ্ট। দীর্ঘদিন ধরেই যারা ফেরির হোটেল চালাচ্ছেন তাদের কাছে এটি শুধু ব্যবসা নয়, বিভিন্ন জেলার মানুষের সাথে আনন্দঘন মুহুর্ত পার করা ছিল অন্যরকম এক সুখ। এখন থেকে এসব কেবলই স্মৃতি হয়ে থাকবে। এমনি করে দিন বদলের খেয়ায় হারিয়ে যায় সবই। পদ্মাসেতুতে হারাবে পথের ক্লান্তি, শুধু থেকে যাবে সুখস্মৃতি।