রাজধানীর প্রায় সব সেকেন্ডারি ট্রনন্সফার স্টেশন-এসটিএস সড়ক ঘেঁষে তৈরি। বাসাবাড়ির সব বর্জ্য এখানেই জমা করা হয় দিনভর। এতে সড়ক নোংরা হবার পাশাপাশি ছড়ায় দুর্গন্ধ। নাক ধরে পথচারীদের রাস্তায় চলতে হয়। সিটি করপোরেশনের দাবি, আগে খোলা জায়গায় ময়লা ফেলা হলেও এখন পরিস্থিতি বদলেছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে করা হয়েছে সেকেন্ডারি ট্রনন্সফার স্টেশন-এসটিএস। তাই ছড়ায় না দুর্গন্ধ। ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, “এসটিএসটা একটি কাভার জার। এটি রাস্তার ফাঁকে ফাঁকে এবং কোন কোন এসটিএস রাস্তা থেকে দূরেও আছে। এই এসটিএস কোন অবস্থাতেই ওপেন নয়। সেখান থেকে দুর্গন্ধ, ময়লা রাস্তায় চলে আসার কোন সুযোগই নেই।” তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। অনেক এসটিএসের গেইট কখনো বন্ধ করা হয় না, আবার কিছু স্টেশনের গেইট না খোলায় সড়কের উপর ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। সেলিম রেজা বলেন, “যেখানে রাস্তার উপরে ময়লাগুলো প্রসেস করা হত, খোলা থাকতো, কাঁকপক্ষি সবসময় এগুলোকে ছড়িয়ে থাকতো। সেই জায়গা থেকে আমরা একটি আবদ্ধ গিয়েছি।” বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আরও আধুনিক করতে আন্ডারগ্রাউন্ড এসটিএস করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন। ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “জনবান্ধব একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করার জন্য আমরা অত্যাধুনিক আন্ডারগ্রাউন্ড এসটিএস করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।” প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর কোথাও বর্জ্য খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে আশ্বস্ত করেছে ডিএনসিসি। সেলিম রেজা বলেন, “প্রকল্পটা শুরু হলে বর্জ্য আর রাস্তাঘাটে বা ল্যান্ডফিল্ডে কোথাও আর দেখা যাবে না।”