দেরিতে হলেও ২৫০ স্থানে ডিজিটাল পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তুলছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। আর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল আধুনিকায়নের পাশাপাশি ওসমানী উদ্যানে স্থায়ী পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে চায় দক্ষিণ সিটি। উন্নত পার্কিং ব্যবস্থা চালু হলে বদলে যাবে ঢাকার চিত্র, আশা দুই মেয়রের। উন্নত বিশ্বে ট্রাফিক সিগন্যালের মতো ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার হয় পার্কিংয়ে। মানুষ ছাড়াই যন্ত্রের সাহায্যে স্বংক্রিয়ভাবে যানবাহন পার্কিং এবং বের হবার কাজটি খুব সহজে হয়। চার্জ করা হয় নির্দিষ্ট পরিমাণের টাকা। যানজট নিরসনে বৈধ ডিজিটাল পার্কিংয়ের কথা বলছে ট্রাফিক পুলিশ। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান বলেন, “কিছুটা জায়গা এখনও অবশিষ্ট রয়েছে, সেসেব জায়গায় যদি ডিজিটাল পার্কিং সিস্টেমটা করা যায় এবং সেটা যদি বহুতল বিশিষ্ট হয় তাহলে ক্রমবর্ধমান পার্কিংয়ের সমস্যাটা দূর হবে।” গাড়ি পার্কিংয়ের সংকট কাটাতে এবার ঢাকায় চালু হতে যাচ্ছে ডিজিটাল পার্কিং সিস্টেম। উত্তর সিটির মেয়র বলছেন, খুব দ্রুতই ২৫০ স্থানে চালু হবে অত্যাধুনিক পার্কিং সার্ভিস। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “জনগণকে বলবো খুব দ্রুত ২৫০ জায়গায় ডিজিটাল পার্কিং চালু করতে যাচ্ছি। এসব জায়গায় ঘন্টায় ২০ টাকা চার্জ দিয়ে পার্ক করতে পারবেন। এটির চালু মাধ্যমে গোটা ঢাকা শহরকে কিছুটা হলেও ডিসিপ্লিনের মধ্যে আনা সম্ভব হবে।” এদিকে দক্ষিণ সিটি মেয়র বলছেন, গাছ রক্ষা করে ওসমানী উদ্যানে গড়ে তোলা হবে ২০০ গাড়ি ধারণ ক্ষমতার পার্কিং ব্যবস্থা। মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “গাছগুলো যাতে কাটা না পড়ে সেভাবে আমরা চিন্তা করেছি। সে প্রেক্ষিতে দেখা গেছে যে ২শ’ গাড়ি রাখার ব্যবস্থা হবে। এর থেকে বেশি করতে গেলে গাছ কাটা পড়বে।” সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন হলে কোন গাড়ি রাস্তায় পার্কিং করতে দেয়া হবে না বলেও জানান দক্ষিণ সিটির মেয়র।