পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অপারেটরটি নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে না বলে জানা গেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেও গ্রামীণফোনের সেবার মান ভালো করার কোনো উদ্যোগ নিতে দেখিনি। তারা গ্রাহক বাড়াবে, কিন্তু সেবার মান বাড়াবে না, এটা হতে দেয়া যাবে না। যতদিন না তারা সেবার মান ভালো করবে এবং তা সন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত না হবে, ততদিন গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। গতকাল দুপুরে বিষয়টির অনুমোদনের পরে বিটিআরসি এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা গ্রামীণফোনে পাঠিয়েছে। অপারেটরটি গ্রাহকদের কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারলেই নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর সঠিক। তারা মানসম্মত সেবা (ভয়েস কল ও ইন্টারনেট) দিতে পারছে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অপারেটরটি (গ্রামীণফোন) সিম বিক্রি করতে পারবে না। বিটিআরসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত মে পর্যন্ত গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যা আট কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার। প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নিলামে সবচেয়ে বেশি তরঙ্গ (৬০ মেগাহার্টজ) কেনে গ্রামীণফোন। এর আগে গ্রামীণফোনের হাতে ছিল ৪৭ দশমিক ৪০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ। সব মিলিয়ে অপারেটরটির তরঙ্গের পরিমাণ ১০৭ দশমিক ৪০ মেগাহার্টজ। যদিও বাকি অপারেটরদের মতো গ্রামীণফোনও নতুন বরাদ্দ পাওয়া তরঙ্গ ব্যবহার করতে পারছে না। আগামী ডিসেম্বর থেকে অপারেটরগুলো তরঙ্গ ব্যবহার করতে পারবে বলে জানা গেছে। জানা যায়, বর্তমানে এক মেগাহার্টজ তরঙ্গে গ্রামীণফোন ১৪ লাখ লাখ গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে, অন্যান্য অপারেটরের চেয়েও যা বেশি। নতুন তরঙ্গ যুক্ত হলে তা হবে (এক মেগাহার্টজে) সাত লাখ ৭০ হাজার গ্রাহক।