গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা দেয়ার লক্ষ্যে বিটিআরসি’র নিলামে অনুমোদিত সীমার সর্বোচ্চ ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনেছে গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, “নিলাম আয়োজনের জন্য আমি বিটিআরসি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই নিলাম সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে। দেশের মানুষকে মানসম্পন্ন সেবা প্রদানে সরকারের স্বদিচ্ছার এটি আরও একটি বহি:প্রকাশ। গ্রামীণফোনের জন্য এই নিলাম একটি সময়োচিত মাইলফলক। তরঙ্গ নিলামটি এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন আমরা বাংলাদেশের সম্ভাবনা এগিয়ে নিতে মানুষকে কানেক্টিভিটি দেয়ার ২৫ বছর উদযাপন করছে গ্রামীণফোন।
বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনের যাত্রায় শুরু থেকেই কাজ করছে গ্রামীণফোন। আবারও ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনার মাধ্যমে দেশের মানুষের ডিজিটাল সম্ভাবনা উম্মোচনে আমাদের অঙ্গীকারকেই পুর্নব্যক্ত করছে।গ্রাহকদের অভিজ্ঞতার আরও উন্নয়ন এবং সেবার মান উন্নয়ন সব সময়ই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। ভবিষৎতে নেটওয়ার্কে আমাদের তরঙ্গের ব্যবহার গ্রাহকদের আরও উন্নত ফোরজি সেবা প্রদানে সহায়ক হবে।” ইয়াসির আজমান আরও বলেন, “বাংলাদেশের ডিজিটাল সম্ভাবনা বাস্তবায়নে গ্রাহক চাহিদা পূরণে উন্নত ফোরজি প্রযুক্তি’র প্রাথমিক চালিকা শক্তি হিসাবে থাকবে।ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রেখে, আমরা সামনের মাসগুলোতে সরকার এবং সম্ভাব্য অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রির সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ট্রায়াল/টেস্ট করে বাংলাদেশের জন্য ফাইভজি ব্যবহারের সম্ভাব্য ক্ষেত্র চিহ্নিত করব। আমরা বিটিআরসি’র সাথে গুরুত্বপূর্ণ রেগুলেটরি এনাবলার এবং সামগ্রিক ফাইভজি লাইসেন্সিং কাঠামোর বিষয়ে একটি আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছি, যা শুধুমাত্র ইন্ডাস্ট্রি কন্সাল্টেশনের পরেই চূড়ান্ত করা হবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।” গ্রাহকদের কাছে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তিসেবা পৌঁছে দিতে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু থেকে সবসময় গ্রাহকদের অগ্রাধিকার বিবেচনায় রেখে প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক ক্ষমতায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।