কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত-আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রাম একটি মহাকাব্য। আর এ মহাকাব্যের রূপকার ও মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের কল্যাণে ও মানবতার জন্য আজীবন কাজ করেছেন, নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে, মানবতাকে ভালবেসে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলাম।
সমবেত ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তোমরা বড় হয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়বে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিজেদের জীবনে ধারণ করবে এবং বাস্তবে রূপ দিবে। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে না পারলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হবে না। বঙ্গবন্ধুর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তোমরা এগিয়ে আসবে। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, শান্তির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব তোমাদের মতো আগামী প্রজন্মের। বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের এবং সকলের জন্য গর্বের ও অহংকারের। তাঁরা জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা এ দেশটি স্বাধীন করেছিলাম, তাতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কাজেই, যতদিন পদ্মা, মেঘনা-যমুনা বহমান থাকবে,যতদিন চন্দ্র-সূর্য থাকবে, ততদিন মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে অম্লান হয়ে থাকবে। অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গণি, পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার, ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসলাম হোসাইন, পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান বকল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর ফারুক আহমাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শামছুল হুদা, খন্দকার জেব-উন নাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী ধনবাড়ীতে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এক লক্ষ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও নিজেদের যুগপূর্তি উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সবুজ পৃথিবী সংগঠনটি এ কর্মসূচির আয়োজন করে। পরে বিকালে মন্ত্রী ধনবাড়ী সরকারি কলেজ মাঠে ‘তরুণের হাট’ এর ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে তারুণ্যের উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।