মনির খাঁন স্টাফ রিপোর্টার
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
পরে আত্মীয়-স্বজন ও ওই শিক্ষার্থীদের বান্ধবীদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে কোন সন্ধান না পেয়ে শুক্রবার (২৭ মে) রাতে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করে তাদের বাবা।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের কালেম গ্রামের মজিবুল হকের মেয়ে।
মজিবুল হক দীর্ঘদিন যাবৎ দাফন সেবা ও লাশ গোসল দিয়ে আসছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালেম গ্রামের মজিবুল হকের ৪ মেয়ে।
তাদের মধ্যে তাসনিম জাহান (১৭), মারজাহান (১৪), তাজিন সুলতানা (১২) নাঙ্গলকোট আফসারুল উলুম কামিল মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষ, অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আর মাইশা সুলতানা (৬) নারুয়া তা’লিমুল কোরআন মডেল মাদরাসার শিশু শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার (২৫ মে) একই ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামের নানা বাড়িতে বেড়াতে যায় ৪ বোন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তারা ৪ বোন নানা বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়। এরপর থেকে তাদের কেউ বাড়ি ফিরেনি। পরে ওইদিনই বিকেল থেকে মেয়েরা বাড়িতে না যাওয়ায় তাদের পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও তাদের কোন সন্ধান পায়নি।
মঙ্গলবার (৩১ মে) নিখোঁজদের বাবা মুজিবুল হক বলেন, আমি সব আত্মীয়দের বাড়িতেও মেয়েদের খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু তাদের কোনো খোঁজ পাইনি। আমার কলিজা ফেটে যাচ্ছে। আমাদের সঙ্গে কারও বিরোধও নেই যে এত বড় ক্ষতি করতে পারে। আমার মেয়ে, আমার ছয় বছরের বাচ্চা!
মৌকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, একসঙ্গে চার বোন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা মর্মান্তিক ও রহস্যজনক। তাদের খুঁজে বের করতে তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়ছে না।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেছি। তাদের খুঁজে বের করতে আমাদের একাধিক দল কাজ করছে।