মনির খাঁন কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে বিদ্যুৎতের লাইন স্থাপন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে উপজেলার মোচাগাড়া এলাকায় মোচাগাড়া এগ্রো ফিসারিজ কমপ্লেক্সের মালিক পক্ষ এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ঠিকাদারদের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে মোচাগাড়া এগ্রো ফিশারিজ কমপ্লেক্সের নিরাপত্তাবেষ্টনীসহ তাদের স্থাপনা ভাঙচুর করার অভিযোগ করা হয়।
এঘটনা ফিশারিজের মালিক খন্দকার জহুরুল হক বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ উল্টো তাকে এবং তার ভাই আবদুল্লাহকে আটক করে। এনিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা গেছে, মুরাদনগরে পাওয়ার গ্রিড বিদ্যুৎ কোম্পানি ১৩২ কেবি দ্রুত সঞ্চালন লাইন হতে মুরাদনগর গ্রিড উপকেন্দ্র লাইন ইন আউটলাইন কাজের কারনে মোচাগাড়া এগ্রো ফিশারিজ কমপ্লেক্স
লিমিটেড এর ৬.৯ একর জায়গার কৃষি পন্য উৎপাদন ব্যাহতসহ সেখানে স্থাপিত একটি মাদ্রাসার ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। ফিসারিজ কর্তৃপক্ষ পাশের খাস ভূমিতে তাদের লাইনটি নির্মাণ করার জন্য বারবার অনুরোধ করলেও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি তা আমলে নিচ্ছে না।
বিষয়টি শুরাহার জন্য ফিশারিজের মালিকপক্ষ কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করে। এছাড়া আদালতেও একটি মামলা দায়ের করে। আদালত এনিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং বিদ্যুৎ
কোম্পানিকে শোকজ করেন। বিষয়টি সুরাহা না করেই সোমবার জোরপূর্বক ওই ফিশারিজের জায়গায় বিদ্যুৎতের ঠিকাদার লাইন নির্মাণের চেষ্টা করলে সেখানে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিষয়টি সংঘর্ষে রুপনেয়। এ সময় মোচাগাড়া এগ্রো ফিশারিজের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এদিকে বিদ্যুৎতের ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ আদালতের দেয়া শোকজের জবাব না দিয়ে জোরপূর্বক সেখানে কাজ করতে গেলেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। এ বিষয়ে ফিশারিজের পরিচালক খন্দকার জহুরুল হক বলেন, আমাদের
প্রতিষ্ঠান এবং মাদ্রাসার অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে তারা বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করতেছে। আমরা এ নিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে শোকজ করেছি কিন্তু শোকজের জবাব না দিয়ে তারা জোরপূর্বক আমাদের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙচুর করে।
আমাদেরকে মারধর করে কাজ করার চেষ্টা করতেছে এমতাবস্থায় আমাদের শ্রমিকসহ এলাকাবাসীর মাঝে চরম উত্তেজনা এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে। এসব বিষয় নিয়ে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ উল্টো আমাকে এবং আমার ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানীর সাইড ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মজিদ বলেন, আমরা নিজেদের স্বার্থে কোন কাজ করি নাই এটি সরকারি কাজ জনগনের স্বার্থে করা হচ্ছে। সরকারি কাজ সরকারি আইন মোতাবেক করা হচ্ছে। এ কাজ করতে গিয়ে কারো জমির ফসল নষ্ট হলে আমরা তাদের ক্ষতিপূরন দিচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যে এ প্রজেক্টের ৭০শতাংশ কাজ করেছি বাকী কাজটি করেছি এগ্রো ফিসারিজের মালিকের বাধার কারনে বাকী কাজটি সম্পূর্ন করতে পারছি না।
এনিয়ে আগামী শুক্রবার এগ্রো ফিসারিজের মালিকপক্ষ ও আমাদের উর্দ্ধতন কমকর্তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বসবেন। আশা করছি শিগ্রই এর একটি সুরাহা হবে। মুরাদনগর থানার অফিসার ইার্জ আবুল হাসিম বলেন, এ বিষয়ে কাউকে পুলিশ আটক করে নি। ইউএনও স্যার দুপক্ষকে ডাকলে পুলিশ ইএনও স্যারের কাছে তাদের নিয়ে যায়। পরে সিদ্ধান্ত হয় আগামী শুক্রবার দুপক্ষ এ বিষয়টি নিয়ে বসবে।