মনির খাঁন কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রাক,পিকআপ ও বিভিন্ন গাড়িতে করে বড় বড় সাউন্ডবক্স বাজিয়ে ঈদ উদযাপন করতে দেখা গেছে শিশু কিশোরদের। তাছারা এ উপজেলা দিয়ে বহমান গোমতী নদী দিয়ে ট্রলারে করে মাইক ও সাউন্ডবক্স লাগিয়ে অতিরিক্ত শিশু কিশোর বহন করে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে।
এতে করে সচেতন মহলে উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ঈদের দিন সকাল থেকে কিছুক্ষন পর পর পিকআপ ও ট্রাকে করে শিশু কিশোররা যাচ্ছে বিভিন্ন যায়গায় ঘুরতে।
এসব ট্রাক পিকআপে জেনারেটরের সাহায্যে বাজানো হচ্ছে ডিজে পাটিরও সাউন্ডবক্স। সাউন্ডবক্সে জোরে জোরে গান বাজানোর পাশাপাশি শিশু কিশোররা বাজাচ্ছে ভুবুজেলা বাঁশি। যার শব্দে অতিষ্ঠ মসজিদে নামাজ পড়া মুসল্লী সহ পথচারি সাধারন মানুষ। মঙ্গলবার (৩ মে) মুসলমানের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ-উল ফিতর উৎযাপিত হয়।
উচ্চ শব্দে গান বাজনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে বিশেষ ধরনের ভুবুজেলা বাঁশি যা দিয়ে অতিরিক্ত শব্দ বের হয় তা বাজানো হচ্ছে, যার ফলে সাধারণ পথচারীদের চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যুবক ও উঠতি বয়সের ছেলেরা দল বেঁধে যে ভাবে পারছে সেভাবে বিভিন্ন বিকৃত অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করছে।
এ নিয়ে প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের নিকট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিকার চেয়েছেন অনেকেই। পরে বুধবার দুপুরে উপজেলার বাখরাবাদ ও রহিমপুর এলাকা থেকে শিশু কিশোরদের নিয়ে গান বাজানো দুটি পিকআপ আটক করে থানায় নিয়ে আসেন মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাশিম। এসব পিকআপ আটক করার ফলে ইতিমধ্যে তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকই তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঈদে পরিবার নিয়ে উপজেলার তিতাঁস ব্রিজে ঘুরতে আসা কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা হলে তারা বলেন- ঈদ উপলক্ষে ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি তিতাঁস নদীর পাড়ে। কিন্তু রাস্তায় বেড় হবার পর থেকেই দেখছি ডিজে গানের সঙ্গে শিশু কিশোররা যেসব বাজে ইজ্ঞিত করছে তা সচেতন মহলে কোনভাবেই কাম্য নয়।
মেয়েদের দেখলে যেন এদের কার্যকলাপ আরো কয়েকগুন বেড়ে যায়। ঈদ উদযাপনের নামে এসব অপ-সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে শিশু কিশোরদের যার জন্য সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের। একটি পিকআপে ধারন ক্ষমতার কয়েকগুন বেশি শিশু কিশোরা উঠছেন এবং এসব পিকআপ রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে করে যেকোনো মূহর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসিম বলেন, ঈদের পরদিন থেকেই মোবাইলে অনেকেই জানিয়েছেন পিকআপে অতিরিক্ত মানুষ বহন করে তাতে বড় বড় সাউন্ডবক্স লাগিয়ে শিশু কিশোররা ছুটছেন এ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায়। এবং এসব কিশোরদের ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছেন রাস্তায় বের হওয়া অনেক মেয়ে। সাউন্ডবক্সসহ দুটি পিকআপ আটক করেছি তা আমাদের হেফাজতে রয়েছে। ঈদের আমেজ শেষ হবার পর পিকআপ দুটি ছেড়ে দেওয়া হবে।