মনির খাঁন কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি।
কুমিল্লা জেলার শোভারামপুর গ্রামে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা চিশতিয়া খানকা শরীফে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অর্থ লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হোমনা থানায় খানকা শরীফের অনুসারী তত্ত্বাবধায়ক মো.জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫/১৬জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাদীর অভিযোগসূত্রে জানা গেছে,কুমিল্লা জেলার বাঙ্গরা থানা ১২নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত. আলেক মিয়ার ছেলে মো.জাহাঙ্গীর আলম চিশতিয়া তরিকার একজন অনুসারী এবং হোমনা থানাধীন শোভারামপুর এলাকায় চিশতিয়া খানকা শরীফে দীর্ঘদিন ধরে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। সেই খানকা শরীফে প্রায়ই চিশতিয়া তরিকার ভক্তবৃন্দ একত্রিত হয়ে সেখানে জিকির আসকার ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে থাকেন। কিন্তু এলাকার স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হিংসার বশবর্তী হয়ে তরিকার অনুসারী ও ভক্তবৃন্দের উপর প্রায়ই হামলা চালিয়ে মারধর করে থাকে। গত ২৯ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় চিশতিয়া তরিকার অনুসারী মো. জাহাঙ্গীর আলম খানকা শরীফে একাকী অবস্থানকালে শোভারামপুর গ্রামের হাতুড়ে ডাঃ মজিবর রহমানের সন্ত্রাসী ছেলে ইয়ামিনসহ আরও ১৫/১৬ জনের একদল সন্ত্রাসী দা,চাপাতি,শাবল,লোহার রড, লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে খানকা শরীফে হামলা চালিয়ে তাকে এলোপাতারীভাবে পিটিয়ে আহত করে এবং সমস্ত আসবাবপত্র ভাংচুর করে এসময় খানকা শরীফের ভিতরে দান বাক্সে থাকা সকল অর্থ লুটপাট করে নিয়ে যায়।ধারণা করা হচ্ছে ভাংচুরের ঘটনায় খানকা শরীফের প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে । সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার সময় এই বলে হুমকী প্রদান করে যে,সেখানে পূণরায় খানকা শরীফ বানানোর চেষ্টা করলে বা আইনের আশ্রয় নিলে তত্ত্বাবধায়ক মো.জাহাঙ্গীর আলমকে কেটে টুকরো করে নদীর মাছকে খাওয়াবে। এমতাবস্থায় খানকা শরীফের তত্ত্বাবধায়ক মো.জাহাঙ্গীর আলম নিরাপত্ত্বাহীণতায় রয়েছেন। উল্লেখ্য যে,এর আগে গত ২২ এপ্রিল ২০২০ খ্রিঃ রাত সাড়ে ৮টায় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা খানকা শরীফে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। উক্ত ঘটনায় হোমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। যার জি ডি নং- ৭৯৪, ২৪/০৪/২০২০ ইং। ঘটনার ২ বছর অতিবাহিত হলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোনো তৎপরতা না থাকায় ও প্রশাসনীক দূর্বলতার কারণে সন্ত্রাসীরা পূণরায় হামলার ঘটনা ঘটায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান,খানকা শরীফে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটসহ পর পর এমন ন্যাক্কারবজনক ঘটনাটি পুরো এলাকা জুড়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অপরদিকে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনেরও এঘটনার তদন্তে কোনো অগ্রগতি দেখছি না। তারা প্রকৃত আসামীদেরও গ্রেফতার করছেন না, এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাও নিচ্ছেন না বলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি,একটি অভিযোগও পেয়েছি। তদন্তের জন্য থানার এস আই সেকান্দারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনানুগমূলক কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া