ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। এরপর পেনাল্টি শ্যুটআউটে ওমানকে ৫-৩ গোলে পরাজিত করে বাংলাদেশ । প্রথম কোয়ার্টারের শেষ দিকে বাংলাদেশ গোল করে লিড নেয়। সোহানুর রহমান সবুজের দৃষ্টিনন্দন গোলটি বাংলাদেশ শিবিরে আশার আলো জ্বালিয়েছিল; কিন্তু বেশি সময় গোল ধরে রাখতে পারেনি গোবিনাথনের দল। ১৯ মিনিটে আল ফাহাদের গোলে সমতা আনেন ওমান।
সময় যত গড়িয়েছে খেলার নিয়ন্ত্রণ ততো বেশি চলে যায় ওমানের হাতে। প্রথম তিন কোয়ার্টারে কোন পেনাল্টি কর্নার না পাওয়া ওমান শেষ কোয়ার্টারে পরপর দুটি পেনাল্টি কর্নার আদায় করে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু গোল আদায় করতে পারেনি। প্রথম কোয়ার্টারে দুটি ও শেষ কোয়ার্টারে একটি পেনাল্টি কর্নার পেলেও তা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেনি লাল-সবুজের দল। গোলের জন্য মরিয়া ছিল দুই দল। পারেনি কোন পক্ষই। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলেই শেষ হয়। ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণ হয় পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সেখানে বাংলাদেশ ৫-৩ গোলে জিতে টানা চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ভাগ্য নির্ধারনী পর্বে বাংলাদেশ ৫টি হিটেই গোল আদায় করে নেয়। প্রথম গোল করেন ফরহাদ আহমেদ সিটুল। দ্বিতীয় গোল সোহানুর রহমান সবুজের, তৃতীয় গোল রোমান সরকারের, চতুর্থ গোল নাইমের এবং জয়সূচক শেষ গোলটি করেন পুস্কর খিসা মিমো।
এর আগে বাংলাদেশ গোলরক্ষক বিপ্লব কুজুর ওমানের চতুর্থ হিট বাধা দিতে সমর্থ হন এবং সামাইয়া মাহমুদ বল বাইরে মারেন। এরপরই মিমোর শেষ পেনাল্টি হিট হয়ে উঠে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মিমো দারুণভাবে গোল করলে ওমানকে আর পঞ্চম হিট নিতে হয়নি। বাংলাদেশের জয় নিম্চিত হয় ৫-৩ গোলে। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ও ওমান একই গ্রুপে ছিল। গ্রুপম্যাচেও বাংলাদেশ হারিয়েছিল ওমানকে। ওই ম্যাচের ফল ছিল ৩-২। গ্রুপ পর্বের চার ও সেমিফানাল জেতার পর ফাইনালেও বাজিমাত ইমান গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তির দলের। বাংলাদেশ অপরাজিত থেকেই ধরে রাখলো এএইচএফ কাপ হকির শিরোপা।
এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠে বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছিল এশিয়ান গেমস খেলার টিকিট। ফাইনালে উঠে নিশ্চত করেছিল এশিয়া কাপের টিকিট। আর ফাইনাল জিতে ট্রফিটা ধরে রাখলো নিজেদের কাছেই।