গ্রীষ্মে গরমে সবাই অতিষ্ঠ। প্রচণ্ড এই গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে অনেকে ডাবের পানি পান করে থাকেন। ডাবের পানি শরীর ঠাণ্ডা রাখে। আবার এই গ্রীষ্মেই তালশাঁস পাওয়া যায় বাজারে। কেউ কেউ তালশাঁসও খেয়ে থাকেন। তালশাঁস খেতে খুবই সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। এতেও ডাবের মতো প্রচুর পরিমাণ পানি রয়েছে। তালশাঁসের ভেতরে থাকা পানির স্বাদ কিন্তু ডাবের পানির মতোই। এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, ফাইবার ও খনিজ উপাদান থাকে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডাবের পানি ও তালশাঁসের গুণাগুণ প্রায় একই। দুটিই একটি খোলসের মধ্যে আবদ্ধ থাকে। ডাবের ভেতরে পুরোটাই পানি থাকে। আর তালশাঁসে কিছুটা শক্ত অংশ থাকে। তারপরও গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে তালশাঁস। অনেকে মনে করেন, গরমে ডাবের পানিই বেশি উপকারী। কিন্তু তারা হয়তো জানেন না, তালের কচি শাঁসও বেশ উপকারী ও স্বাস্থ্যকর। গ্রীষ্মে তাপমাত্রার জন্য ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়া, চুল পড়ার মতো নানা সমস্যা হয়ে থাকে। আর ঘেমে যাওয়ার মতো সমস্যা তো রয়েছেই। ঘামের কারণে শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়। সেই পানি ঘাটতি পূরণে দুর্দান্ত সাহায্য করে তালশাঁস। তালশাঁসে বিদ্যমান তরল পানীয় শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে থাকে। এতে ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স রয়েছে। যা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ রয়েছে। যা দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে থাকে। এছাড়া লিভারজনিত সমস্যায় কচি তালের শাঁসও অনেক ভালো উপকারে আসে। অ্যানিমিয়া, রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দূর করে থাকে। এ জন্য গরমে সুস্থ থাকতে ডাবের পানি এবং তালশাঁস দুটোই খেতে পারেন। দুটোই শরীরের জন্য উপকারী।