সম্মানীয় ব্যক্তিদের সবাই যেমন গুরুত্ব দেয় তেমনি অনেকেই তাদের মতো হতে চান। সব শ্রেণীর মানুষই তাদের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। তাদের আচার আচরণগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করতে চান। কারণ সেসব মানুষের মধ্যে এমন কিছু গুণ থাকে যা সবাইকে সবসময় আকর্ষণ করে। এমন সব মানুষের ব্যক্তিত্ব নিজের মধ্যে কিছুটা ধারণ করতে চাইলে নিচের কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে পারেন।
শান্ত থাকার অভ্যাস
একটু খেয়াল করলে দেখবেন, সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তিরা রেগে গেলেও নিজেকে সংযত রাখতে পারেন। তারা যেকোন পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখতে পারেন। তাদের গলার স্বর, চেহারার ভঙ্গি এবং বাচনভঙ্গিকে সবসময় নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। এরফলে কারো প্রতি তারা রাগান্বিত হয়েছেন কি না তা কখনোই বুঝা যায় না।
অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন
আপনি যখন অন্যকে সম্মান দিবেন তখনই আপনি নিজেও সম্মান পাবেন। সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তিরা অন্যের কথাও খুব মনোযোগ দিয়ে শোনেন। আর যারা কথা কম বলেন এবং অন্যের কথা শুনতে পছন্দ করেন তারা এমনিতেই সবার সম্মান পান।
সহায়তার মনোভাব
অন্যর সম্মান পাওয়ার জন্য আপনার মধ্যে অবশ্যই অন্যকে সাহায্য করার মনোভাব থাকতে হবে। তবে অবশ্যই সেটা লোক দেখানো বা নাটকীয় হওয়া যাবে না। আপনি একসময় বুঝতে পারবেন আশপাশের লোকজন আপনাকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতে শুরু করবে।
কঠোর পরিশ্রম
আপনি যদি কাজে দক্ষ ও সৎ হন তাহলে মানুষ আপনাকে এমনিতেই শ্রদ্ধা ও সম্মান করবে। আর যদি কাজে দক্ষ না হন, তাহলে মানুষ আপনাকে গালমন্দ করবে, আপনার প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। তাই কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের সম্মান অর্জন করতে হবে।
ভুল হলে স্বীকার করুন
কিছু মানুষ নিজের ভুল বুঝতে পারার পরও তা স্বীকার করতে চান না। এসব মানুষ খুব দ্রুত নিজের সম্মান হারিয়ে ফেলেন। অন্যের কাছে সম্মান আশা করলে আপনার মাঝেও অবশ্যই নিজের ভুল স্বীকার করার ও তা শুধরে নেওয়ার গুণ থাকতে হবে।
আত্মবিশ্বাসী হোন
নিজের প্রতি কখনোই বিশ্বাস হারাবেন না। সম্মানিত ব্যক্তিরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকেন। এমনকি তারা কোন কাজে ভুল করলে তার জন্য হতাশ না হয়ে খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দ্রুত তার সমাধানও করতে পারেন। এমন ব্যক্তিরা সবসময় সচেতন থাকেন কারণ তারা জানেন, মানুষ মাত্রই ভুল করে এবং এর সমাধানও মানুষের কাছেই আছে।