রাজধানীর শ্যামলী মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কারকৃত ৭টি মাঠের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। মেয়র বলেন, ডেভেলপার ডিজাইনে দেখিয়েছে খেলার মাঠ, পার্ক, কবরস্থান, বাজার কিন্তু যখন তারা দেখেছে, জায়গার দাম বেশি হয়ে গেছে, শেষ খেলার মাঠও তারা বরাদ্দ দিয়ে দিয়েছে। এদের মুনাফেক বলবো। যারা ডিজাইনে দেখিয়েছেন আপনারা আমার প্লট কিনুন, এখানে খেলার মাঠ আছে। কিন্তু জায়গার দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা মাঠটি প্লট আকারে বিক্রি করে দিয়েছেন। মেয়র বলেন, আমি ফোন করে যখন বললাম, আপনারা নকশায় খেলার মাঠ দেখিয়েছেন। তারা বলে, ‘আমরা খেলার মাঠ এখনো কিনতে পারিনি’। অথচ সব জায়গা প্লট আকারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এটা মানুষের সঙ্গে প্রহসন। এ দুনিয়ায় বিচার না হলেও আল্লাহর দুনিয়াতে বিচার হবে ।
মেয়র আরও বলেন, যেই কথা বলতে যাই, তখনই মামলা দিয়ে দেন। ড্রেজার দিয়ে বালি ভরাট করতে থাকেন। ভরাট করেন কিন্তু যে জায়গাগুলোতে খাল, ডোবা, নদী সেগুলো আপনারা দখল করবেন না। ওগুলো তো আপনাদের জায়গা না! ওই খাল জনগণের জায়গা। ওই খাল দিয়ে নৌকা চলবে। তিনি বলেন, আমি দেখেছি, বসিলা থেকে কীভাবে খাল দখল হয়ে যায়। আমি দেখেছি, কীভাবে রামচন্দ্রপুর খাল দখল হয়ে খেলার মাঠ হয়ে গিয়েছিল। রামচন্দ্রপুর খাল দিয়ে এখন নৌকা চলাচল করে। যদিও সেই খালের মধ্যে এমন কিছু নেই যা ফেলা হয়নি। খালে নৌকা চললে মশার জন্ম হবে না। খালগুলো দখল করে আমরা এমন অবস্থা করেছি ওখানে আর মাছের চাষ হয় না, মশার চাষ হয়। এটা বাস্তব সত্য কথা।