আরএম সেলিম শাহী, শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন দিন মজুর নূর ইসলাম। তার ভাগ্যে আজও জুটেনি একটি সরকারী ঘর।
নূর ইসলাম উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ থাকায় কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলছেন। কোন বেলা খেয়ে না খেয়ে, অনাহারে অর্ধহারে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের। কর্মক্ষমতা হারানো নুর ইসলাম ৪ সন্তানের জনক। তাদের একমাত্র থাকার ঘরটি
বসবাসের সম্পুর্ণ অনুপযোগী। ৪ সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে নুর জাহান বাক-প্রতিবন্ধী, মেঝো মেয়ে নাছরিনের দুটি কিডনীই ড্যামেজ। গত দুই দশক ধরে শারীরিক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত নূর ইসলাম। আরেক মেয়ে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ঢাকায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
সংসারের আর্থিক সংকট থাকায় ঘরটি মেরামত করতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি কোন বেলায় খেয়ে না খেয়ে অনাহারে-অর্ধহারে মানবেতর জীবনযাপন যাপন করছেন তারা। আর এভাবেই শারীরিক ও মানুষিক ভাবে দিন দিন ভেঙে পরছে ওই পরিবারটি।
মাত্র ৫ শতক বসত ভিটের জমি ছাড়া সহায় সম্বল বলতে কিছুই নেই তাদের।
প্রতিবন্দী মেয়েটির ৩ মাস পরপর প্রাপ্ত ভাতা আর ছোট ছেলে মাসুদ এর সামান্য কিছু টাকা। ওই টাকায় নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা নূর ইসলামের। চিকিৎসার খরচ তো দূরের কথা, ঘরটি মেরামতের কোন সামর্থ্য নেই তাদের। অপরদিকে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সংসারের খরচ যোগান দিতে হচ্ছে নুর ইসলামের স্ত্রী মাজেদা বেগমের।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশী ও সাবেক ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন জানান, নুর ইসলামের পরিবারটি দীর্ঘদিন যাবৎ মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের থাকার ঘরটিতে বসবাসের অনুপযোগী। অর্থের অভাবে ঘরটি মেরামত করতে পারছেনা।
এ ব্যাপারে ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলামের কাছে নুর ইসলামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ” ঘর নির্মাণ করার মতো সামর্থ্য নেই নূর ইসলামের। আমার পরিষদের পক্ষেও নুর ইসলামকে একটি ঘর দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আমি আমার প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করবো”।
অসহায় হতদরিদ্র নূর ইসলাম ও তার স্ত্রী মাজেদা বেগম একটা ঘর চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের
সহযোগীতা কামনা করছেন।