বাড়ছে রোদের তীব্রতা। সেই সঙ্গে বাড়ছে গরমও। দেখা নেই বৃষ্টির। গরমে ঘামে একেবারে নাজেহাল অবস্থা সবার। এই সময় ডিহাইড্রেশন, ঠোঁট ফাটা এসব সমস্যা দেখা দিচ্ছে অনেকের মধ্যেই। এছাড়াও অনেকেই গরম থেকে বেরিয়ে এসে ঠান্ডা পানি খাচ্ছেন। ফলে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। এমনকি হিট স্ট্রোক থেকে মৃত্যুও হচ্ছে।
এই গরমে সুস্থ থাকতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতেই হবে। কারণ হিট স্ট্রোক হলে শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যায়। মাথা ঘোরা, বমি এসব তো থাকেই। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে আমাদের কোন নিয়মগুলো মেনে চলা জরুরি-
ছাতুর শরবত
গরমে খুব ভালো ছাতুর শরবত। এতে পেট ঠান্ডাও থাকে। অনেকক্ষণ খিদেও পায় না। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। আর তাই গরমে ছাতুর শরবতের জুড়ি মেলা ভার।
কাঁচা মুগ
প্রতিদিন সকালে একবাটি করে ভেজানো মুগ খান। কিংবা অঙ্কুরিত মুগ, ধনেপাতা, পেঁয়াজ, লঙ্কা, লেবুর রস দিয়ে চাট বানিয়েও খেতে পারেন। এতে শরীর ভালো থাকবে।
আম পান্না
কাঁচা আম পুড়িয়ে বা সেদ্ধ করে জুসটা বের করে নিন। এবার ওই কাথ ছেঁকে নিয়ে ওর সঙ্গে জিরে গুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, সামান্য নুন আর চিনি মিশিয়ে নিলেই তৈরি আমের পান্না। উপর থেকে পুদিনা পাতা দিয়ে দিন।
পেঁয়াজ
গরমকালে প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ খান। হতে পারে তা ভাতের সঙ্গে। কিংবা রুটি, মুড়ির সঙ্গেও খেতে পারেন। আর পেঁয়াজের জুসও বানিয়ে নিতে পারেন। জুস বানিয়ে ওর সঙ্গে খানিকটা মধু মিশিয়ে নিন। এতেও শরীরের তাপমাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
বাটার মিল্ক খান
বাটার মিল্ক শরীরের জন্য খুব ভালো। শরীরকে ঠান্ডা রাখে বাটার মিল্ক। কারণ এর মধ্যে থাকেন প্রোটিন, প্রোবায়োটিক, ভিটামিন। সেই সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও থাকে নিয়ন্ত্রণে। যদি খুব বেশি গরম হয়ে যায় শরীর তাহলে খুব সহজেই ঠান্ডা করে দেয় বাটার মিল্ক।