স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থতি পর্যালোচনা, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতাদি পরিশোধ, সড়ক মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখাসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা কলেজ এবং নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে ঘটনাটি আপনারা বললেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি, একটা ছোটো-খাটো ঘটনা নিয়ে তর্কাতর্কি-মারামারি পর্যায়ে চলে আসছে। আমরা দেখছি, সহিংসতা হয়েছে। ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি দেখছি, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো লক্ষ্য করছেন এবং ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুনলাম ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়িতে অনেকেই আহত হয়েছেন। সাংবাদিক আহত হওয়ার কথাও শুনেছি। ছাত্র এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গিয়েছেন।’ আমাদের পুলিশ, কমিশনার সাহেব, আইজি সাহেব তাৎক্ষণিকভাবে যে ব্যবস্থা নিচ্ছেন, ঈদের মার্কেটও চলছে। সবকিছুর ওপর নজর রেখেই চরম ধৈর্য্যের সঙ্গে আমাদের পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করছেন, আইজি সাহেব তদারকি করছেন।’ এত দীর্ঘ সময় পরও কেন নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘাত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না- সেই প্রশ্ন মন্ত্রীর সামনে রেখেছিলেন সাংবাদিকরা। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনা কুলডাউন হবে। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে।’
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, রাতের সংঘর্ষের সময় পুলিশ দ্রুত তৎপর হলেও সকালে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশকে ততটা উদ্যোগী দেখা যায়নি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সকাল থেকেই নিউ মার্কেট এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। রাতের ঘটনার জেরে সকাল থেকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। বেলা ১১টার পর আবারও রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকা। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এ সংঘর্ষে আরো ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চন্দ্রিমা ও নূর জাহান মার্কেটে আগুন দিয়েছে।