প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যাওয়ার্ডস-এ ‘বেস্ট সিএসআর ব্যাংক’ কৃতিত্ব অর্জন করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যদের ক্ষমতায়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই উন্নয়ন, অগ্রগতি, অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে সক্ষম করে তোলার প্রতিশ্রুতির জন্য ব্যাংকটিকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স। মহামারি মোকাবিলায় জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি টেকসই অর্থনীতি ও সামাজিক পুনর্গঠনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেয়া এবং চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত সম্মুখসারির যোদ্ধাদের সহযোগিতা দেয়ার লক্ষ্যে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘কভিড-১৯ মহামারি বহুমুখী পদক্ষেপ প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা আরও জোরালোভাবে তুলে ধরল। কার্যকরি অর্থে আবারও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা এবং অন্যদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের স্বল্প, মাঝারি এবং দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ নিয়েছি। ভবিষ্যৎমুখী কর্মদক্ষতা, কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সহায়তা ও চালু করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে ডিজিটাল পন্থা বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে বিনিয়োগ করা হয়েছে।’ কমিউনিটির সহায়তায় ব্যাংক কর্তৃক গৃহীত বিশেষ উদ্যোগগুলো হলো এবং প্রতিদিন ৪০০ জন রোগীকে বাঁচানোর জন্য ৩টি কমিউনিটি হাসপাতালে অক্সিজেন উৎপাদন প্ল্যান্ট স্থাপন, গুরুতরভাবে প্রভাবিত কভিড-১৯ রোগীদের জন্য জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা, ২০২১ সালে, ১২৫,০০০ ব্যক্তিকে জীবন ধারণকারী খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সহায়তা প্রদান, শিক্ষা খাতে প্রযুক্তি-ভিত্তিক বৈষম্য কমাতে সারা বাংলাদেশে ১০টি স্থানে ডিজিটাল ক্লাসরুম স্থাপন প্রভৃতি।