ব্যাট হাতে চরম দুঃসময় পার করছেন ভারতীয় ওপেনার ঈশান কিষাণ। সীমিত ওভারের দলে জায়গাটা প্রায় পাকা করে ফেলেছিলেন এই তরুণ। এবারের আইপিএলে রেকর্ড সোয়া ১৫ কোটি রুপিতে দলভুক্ত হয়েছিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে। তবে নিলামে যতটা ঝড় তুলতে পেরেছিলেন, ঈশান তার ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারছেন না মাঠের পারফরম্যান্সে। আইপিএলে প্রথম দুই ম্যাচে অর্ধশতকের দেখা পেলেও বাকি ম্যাচগুলোতে বড় ইনিংস খেলা দূরে থাক, বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতেই হিমশিম খাচ্ছেন ঈশান। আর তাই সুনীল গাভাস্কার মনে করছেন, বিশ্বকাপ ভেন্যুতে নাকানিচুবানি খাবেন এই তরুণ। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভুলে যাওয়ার মত পারফরম্যান্স ছিল ভারতের। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে সেমিফাইনালে উঠতেও ব্যর্থ হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম বিশ্বজয়ীরা। এ বছর বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর, যার আয়োজক অস্ট্রেলিয়া। সেখানে শর্ট বল আর বাউন্স প্রতিনিয়ত সামলাতে হবে ব্যাটারদের, যা এশিয়ার ব্যাটারদের জন্য একটু অনভ্যস্ততার কারণও বটে। ভারতের কিংবদন্তি সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে খেলতে গেলে খুব সহজেই শর্ট বল আর বাউন্সে কাবু হয়ে যাবেন ঈশান। গাভাস্কার বলেন, ‘প্রায় প্রতি ম্যাচেই শর্ট বল ও বাউন্সারের বিরুদ্ধে ঈশানের দুর্বলতা প্রকট হয়ে উঠছে। এটা মোটেও ভালো কোনো ইঙ্গিত নয়। তাই আমার মতে নিজের ভুল না শুধরে নিলে ও কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় সফল হতে পারবে না। কারণ সেখানে বাউন্স আরও বেশি থাকবে। কোনো বোলার তো মার খাওয়ার জন্য ঈশানের সুবিধাজনক জায়গায় বল রাখবে না!’ শুধু এবারের আইপিএলেই নয়, গাভাস্কার ঈশানের শর্ট বলের দুর্বলতা দেখেছিলেন তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শুরুতেই। তাই তাগিদ দিলেন- ভবিষ্যৎকে পোক্ত করতে ঈশান যেন দ্রুত নিজের ব্যাটিংয়ের ত্রুটিগুলো শুধরে নেন। গাভাস্কার বলেন, ‘ও ক্যারিয়ারের শুরুতেই বাউন্সারে বিদ্ধ হয়েছে। মনে রাখতে হবে যে সেই বলটা ওর হেলমেটে সজোরে লেগেছিল। ফলে শর্ট বল ও বাউন্সের প্রতি ভীতি থাকা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতায় লাগাতার সাফল্য পেতে হলে শর্ট বল মোকাবিলা করাটাকে দ্রুত রপ্ত করতে হবে। সেটা এখনই শুধরে নিলে ভালো। এই ভুলভ্রান্তি না শুধরে নিলে ওর পক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেওয়া কঠিন। কারণ এবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে।’ গাভাস্কার বলেন, ‘ও ক্যারিয়ারের শুরুতেই বাউন্সারে বিদ্ধ হয়েছে। মনে রাখতে হবে যে সেই বলটা ওর হেলমেটে সজোরে লেগেছিল। ফলে শর্ট বল ও বাউন্সের প্রতি ভীতি থাকা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতায় লাগাতার সাফল্য পেতে হলে শর্ট বল মোকাবিলা করাটাকে দ্রুত রপ্ত করতে হবে। সেটা এখনই শুধরে নিলে ভালো। এই ভুলভ্রান্তি না শুধরে নিলে ওর পক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নেওয়া কঠিন। কারণ এবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে।’