মো: রওশন আলী (সাভার)প্রতিনিধি:
সাভার পৌর এলাকার আড়াপাড়ায় গাঁজা সেবনে বাধা দেওয়ায় মাদকাসক্তদের হামলায় আহত কৃষ্ণ সরকার (৩৯) মারা গেছেন। বুধবার (০১ জুন) ভোররাতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত কৃষ্ণ সরকার পেশায় একজন ভিডিও ক্যামেরাম্যান ছিলেন এবং সে আড়াপাড়া সুতার নোয়াদ্দা মহল্লার ননী গোপাল সরকারের পুত্র। নিহতের ছোট ভাই রনি সরকার জানান, সোমবার কাজ শেষে রাত সাড়ে দশটার দিকে বাড়ি ফিরেন কৃষ্ণ সরকার। বাড়ির প্রধান দরজার সামনে একদল কিশোরকে নেশা (গাঁজা সেবন) করতে দেখে এর প্রতিবাদ করেন কৃষ্ণ। এ সময় বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে কিশোরদের মধ্যে থাকা নয়ন ছুরি দিয়ে কৃষ্ণের পেটে ও বুকে কয়েকটি আঘাত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোররাতে কৃষ্ণের মৃত্যু হয়। রনি সরকার আরো জানান, মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাং লিডার নয়ন আড়াপাড়ার গেদা মিয়ার মেয়ের জামাতা। সে কুষ্টিয়ার লালনশাহ মাঝার এলাকার মন্ডল পাড়ার আ: বারেকের পুত্র। নিহতের স্ত্রী সুমি সরকার জানান, আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই ছেলেরা কৃষ্ণকে রক্তাক্ত করে পালিয়ে গেছে। এই এলাকার মানুষেরা প্রতিনিয়ত কিশোর গ্যাং ও মাদকাসক্তদের দ্বারা নির্যাতিত। তাদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করে না। প্রতিবাদ করায় কৃষ্ণকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হলো। নিহত কৃষ্ণের স্ত্রী ও নীল সরকার (৮) নামে একটি ছেলে রয়েছে। চার ভাইবোনের মধ্যে কৃষ্ণ ছিল বড়। এঘটনায় অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, কৃষ্ণ সরকার আইসিইউতে থাকাবস্থায় থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই গোবিন্দ সরকার। কৃষ্ণের মৃত্যুতে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া অভিযুক্তদের অভিযানের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।