সাভারে একটি মহিলা মাদ্রাসায় দশ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সাভার পৌরসভার মজিদপুর বিরুলিয়া রোড এলাকার তা’লীমুন নিসা মহিলা মাদ্রাসায় এঘটনা ঘটে।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, গতকাল দুপুরে ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোতালিব হোসাইনের মেয়ে মেহজাবিন মেহনাজ (১৩) নিজ কক্ষে পারিবারিক কলহের জেরে তেলাপোকা মারার ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোতালিব হোসাইন তার মেয়ের সহপাঠী শিক্ষার্থীদের দোষারপ করেন। পরে এমন অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষর স্ত্রী আলেমা সালমা এবং মাদ্রাসার শিক্ষিকা আমেনা আক্তার একটি রুমে নিয়ে হেফজ বিভাগের দশ শিক্ষার্থীকে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করে।
পরে খবর পেয়ে আহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা মাদ্রাসায় গিয়ে পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন নাম্বারে কল করে জানালে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সাভার মডেল থানা পুলিশ।
রিমি নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, অধ্যক্ষ মোতালিব হোসাইনের মেয়ে তেলাপোকার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় মিথ্যা দোষারপ করে দশ শিক্ষার্থীকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করার বিচার দাবি করেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তা’লীমুন নিসা মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোতালিব হোসাইন বলেন, আমার মেয়ে মেহজাবিন মেহনাজ এখন পুরোপুরি সুস্থ্ আছে। সামান্য ভুল বোঝাবুঝির হয়েছে এবং তা গত রাতেই পুলিশের এসআই পাভেল মোল্ল্যার উপস্থিতিতেই সমাধান হয়ে গেছে।
এবিষয়ে সাভার মডেল থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) পাভেল মোল্ল্যা বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে কল করে অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে মারধরের খবর দেয়া হলে আমরা ছুটে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে এর সত্যতা পাইনি। তবে যতটুকু সমস্যা হয়েছে তারা উভয় পক্ষ মিলে সমাধান করেছেন।