মো: রওশন আলী (সাভার)প্রতিনিধি:
পাইপ লাইন সংস্কারের জন্য সাভারে তিতাসের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে গ্রাহকরা। গৃহিনীদের বাধ্য হয়ে রান্নার কাজ সারতে হচ্ছে কেরোসিনচালিত স্টোভ, সিলিন্ডার গ্যাস কিংবা ইট-লাকড়ির চুলায়। বুধবার (০৪ মে) সকাল থেকে সাভার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
পৌরসভা এলাকার গৃহবধূ পারুল আক্তার বলেন, ঈদে তিতাসের গ্যাস লাইন বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে ইট দিয়ে চুলা বানিয়ে রান্না করতে হচ্ছে। ভালো মন্দ তো দূরের কথা, ভাত-ডাল রান্না করতেই অনেক ভোগান্তি। একই এলাকায় পোশাক শ্রমিক শায়লা ও সাহিদা বলেন, একদিকে গ্যাস নাই,
অন্যদিকে বৃষ্টি। ইট বসিয়ে তার ভিতর কাঠ পুড়িয়ে রান্না করছি। এরমধ্যে শাক-ভাত ছাড়া ভালো মন্দ রান্না করে খাওয়ার কোন ব্যবস্থা নাই। গ্যাস না থাকায় ঈদ ও ঈদের ছুটিতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন বলেও বলেন তারা। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তিতাসের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাসা-বাড়িতে রান্নায় অধিকাংশ গৃহিণীদের এখন শেষ ভরসা ইট-লাকড়ির চুলা। সুলতানা বিবি নামে এক গৃহীনী ক্ষোভের সাথে বলেন,
ঈদের সময় গ্যাস টানা দুই দিন গ্যাস বন্ধ রাখা উচিত হয়নি। মেহমানদের জন্য নতুন করে চুলা ও সিলিন্ডার গ্যাস কিনতে হয়েছে। ঈদের মধ্যে বাড়তি দুই হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে সিলিন্ডার গ্যাসের দামও বেশি। একই এলাকার আকলিমা হামিদ বলেন, গ্যাস নিয়ে বলার কিছু নেই।
গ্যাস নেই বলে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে একটি সিলিন্ডারসহ গ্যাস ও চুলা কিনতে হয়েছে। এদিকে সাভারে ঈদের রাত ১০টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন তিতাস কর্তৃপক্ষ। মূল লাইনে সংস্কার কাজ চলার কারণে সাভার-ধামরাই-মানিকগঞ্জ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানায় তারা।