তাই শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছিল অঘোষিত ফাইনালে। ম্যাচের আগেই বেশ রোমাঞ্চিত ছিল বাংলাদেশ। কারণটা শেষ ম্যাচ সেঞ্চুরিয়ন বলে। আফ্রিকায় লাল-সবুজের ঝাণ্ডা গেড়ে তার প্রমাণও দিলেন তামিম-সাকিবরা। যে আফ্রিকায় জয় পায়নি বাংলাদেশ সেখানে ২-১ এ সিরিজ জয় করলো তারা। সাকিব দেশ ছাড়ার আগে বলেছিলেন অন্তত একটি ম্যাচে জয় চান। কিন্তু দেশকে পুরো সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসাল পুরো টিম টাইগার্স। বুধবার (২৩ মার্চ) সেঞ্চুরিয়নে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় ম্যাচটি শুরু হয়। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। এখানে পুরো কৃতিত্ব দিতে হবে তাসকিন আহমেদকে। কারণ ২ হাজার ৮৩৬ দিন পর ফাইফার তুলে নিয়েছেন তিনি। তার ফাইফারের দিনে প্রোটিয়ারা সব উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান করতে সক্ষম হয়।
প্রোটিয়াদের দেয়া লো স্কোরিং টার্গেটে খেলতে নেমে দুই টাইগার ওপেনার তামিম ও লিটন স্বাগতিক বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালায়। উদ্বোধনী জুটিতে তারা সংগ্রহ করে ১২৭ রান। ২০.৫ ওভারের সময় কেশব মহারাজের বলে প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। তার আগে ৫৭ বলে খেলেন ৪৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
অপর উদ্বোধনী ব্যাটার টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৮ মাস পর তুলে নেন অর্ধশত রান। এটি তার ক্যারিয়ারের ৫২তম অর্ধশত। ১৫তম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে নিজের অর্ধশত পূরণ করেন তামিম। শেষ পর্যন্ত তামিম ৮২ বলে ১৪ চারের সাহায্যে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন। সাকিব ২০ বলে ২ চারে করেন ১৮ রান। বাংলাদেশও জয় পায় ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। প্রোটিয়াদের হয়ে একমাত্র উইকেট লাভ করেন কেশব মহারাজ।