‘এক সপ্তাহ আগে এক ডজন ফার্মের মুরগির লাল ডিম ১৩৫ টাকা দিয়ে কিনেছি। দুঃখের বিষয় হলো আজ বাজারে গিয়ে দেখি এক ডজন ডিমের দাম ১৮০ টাকা। গত সাত দিনে ডজনপ্রতি ৪৫ টাকা বেড়েছে। এই হিসাবে হালিপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ল। আর একটি ডিম কিনলে কমপক্ষে ১৫ টাকা দিতে হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১১ টাকা। এ রকম চলতে থাকলে আমরা চলবো কীভাবে !’ এভাবেই হতাশার সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন এলিফ্যান্ট রোড এলাকার ক্রেতা আতিকুর রহমান। সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা দোকানে ফার্মের মুরগির লাল ডিম প্রতি পিস ১৪-১৫ টাকা, আর এক হালি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং ডজন ১৬৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের সঙ্গে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম যতটা বেড়েছে, ততটা বাড়ার কথা নয় বলেও স্বীকার করেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে মুরগির খাদ্যের উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। ফলে ডিমের দামও বাড়িয়েছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা। ফরিদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে একটা কিছু শুনলেই মানুষ এর পেছনে ছুটে। ডিম ব্যবসায়ীরাও যার কাছ থেকে যত আদায় করে টাকা নিতে পারে, সেই চেষ্টাই চলছে। কোনো পণ্যে এক টাকা বাড়লে ডিম ব্যবসায়ীরাও বাড়িয়ে দেন তাদের মতো করে। মানে যার কাছ থেকে যত নিতে পারে। একটি ডিম ১৫/১৬ টাকা বিক্রি করছে। এক সপ্তাহে লাল ডিম প্রতিটিতে ছয় টাকা বাড়িয়েছে। এ রকম চলতে দেওয়া যাবে না। প্রশাসনের নজরে এসব আসা খুব জরুরি। আলিফ আখন্দ বলেন, পাইকারী দামে ৩/৪ টাকা বেশি দিয়ে প্রতি পিস কিনতে হচ্ছে। এজন্য ক্রেতাদের কাছে ডিমের দাম প্রায় ৪ থেকে ৬ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরতদাররা ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়েছেন। মুরগির দাম বেড়ে যাওয়াতে ডিমের দামও বেড়েছে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মুরগির খাদ্য তৈরির সামগ্রী ভুট্টা ও সয়ামিলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মুরগির উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এজন্য ডিমের দাম বেড়েছে।