প্রতিটি সময়েরই আমল রয়েছে। কিন্তু সব আমল জানা নেই আমাদের। তবে কুরআন-হাদিসে উল্লেখ রয়েছে আমলগুলো। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নিয়মিত আমল করা হয়। আবার আমল করলে নিজেরও পুণ্য অর্জন হয়। এ কারণে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আমল রয়েছে। সকালে বা সন্ধ্যায় আমল ও জিকির-আজকার করলে সারাদিন বা সারারাত নিরাপদ ও ভালোভাবে কাটে। তাই আমল করা বরকতময় ও মঙ্গলজনক। এ কারণে প্রতিটি মানুষেরই আমল করা উচিত। এবার তাহলে কয়েকটি আমল তুলে ধরা হলো। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যিনি সকালে একশ বার ও সন্ধ্যায় একশ বার ‘সুবহা-নাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করবেন, কিয়ামতের দিন তার থেকে উকৃষ্ট কিছু নিয়ে আসতে পারবে না কেউ। তবে সেই ব্যক্তি ছাড়া, যিনি তার মতো বলবে কিংবা তার থেকে বেশি আমল করবে।’ (মুসলিম, হাদিস ২৬৯২)
আরবি: سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ
উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি
বাংলা অর্থ: আমি মহান আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি।
আবু হুরায়রা (রা.) নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি সকাল বেলা বলতেন,
اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ.
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা বিকা আসবাহ্না ওয়াবিকা আমসাইনা ওয়াবিকা নাহ্ইয়া, ওয়াবিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর।
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার অনুগ্রহে আমরা উপনীত হয়েছি সকালে। আপনার অনুগ্রহে আমরা উপনীত হয়েছি বিকেলে। আপনার দ্বারা বেঁচে থাকি আমরা। আপনার দ্বারা মৃত্যুবরণ করি আমরা। আপনার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।
এছাড়া যখন সন্ধ্যায় উপনীত হতেন, তখন বলতেন,
اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا ، وَبِكَ أَصْبَحْنَا ، وَبِكَ نَحْيَا ، وَبِكَ نَمُوتُ ، وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা বিকা আমসাইনা, ওয়া বিকা আসবাহ্না, ওয়া বিকা নাহ্ইয়া, ওয়া বিকা নামূতু ওয়া ইলাইকাল মাছির।
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আপনার অনুগ্রহে আমরা উপনীত হয়েছি সন্ধ্যায়। আপনার অনুগ্রহে আমরা উপনীত হয়েছি সকালে। আপনার দ্বারা বেঁচে থাকি আমরা। আপনার দ্বারা মৃত্যুবরণ করি আমরা। আপনার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন। (আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৬৮; তিরমিজি, হাদিস: ৩৩৯১; নাসায়ি, হাদিস: ১০৩২৩) আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) ফাতেমা (রা.)-কে বলেন, তোমাকে আমি যা ওসিয়ত করছি তা শুনতে তোমাকে বাধা দেয় কিসে? তুমি যখন উপনীত হবে সকালে কিংবা সন্ধ্যায়, তখন বলবে-
يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغيثُ أَصْلِحْ لِي شَأْنِيَ كُلَّهُ وَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ
উচ্চারণ: ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যূমু বিরহ্মাতিকা আস্তাগীসু, আসলিহ্ লী শা’নী কুল্লাহু, ওয়ালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন।
বাংলা অর্থ: হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী! আমি আপনার রহমতের অসীলায় উদ্ধার প্রার্থনা করছি আপনার কাছে। আমার সার্বিক অবস্থা সংশোধন করে দিন আপনি। আর আমাকে আমার কাছে নিমিষের জন্যও আপনি সোপর্দ করবেন না। [আলবানী হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন] (ইমাম নাসাঈ তার সুনানে কুবরা গ্রন্থে)