তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংবাদপত্রের বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন দরকার, তেমনি দায়িত্বশীলতারও প্রয়োজন। গতকাল বিকালে রাজধানীতে প্রেস ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মাঝে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কল্যাণ অনুদান ও করোনাকালীন দ্বিতীয় পর্যায়ের সহায়তা চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে একটি পত্রিকায় দেখলাম দুই কলাম বড় খবর- বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ। কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে, যে আইরিন খান উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, উনার মতো জাতিসংঘ-সংশ্লিষ্ট আরও ৮০ জন র্যাপোর্টিয়ার সেখানে রয়েছে। সেই ৮০ জনের একজনের মত নিয়ে যদি কোনো প্রথম শ্রেণির সংবাদপত্র লেখে ‘জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ’, তাহলে সেটি কি সাংবাদিকতা না অপসাংবাদিকতা !’ ‘কিন্তু আমাদের দেশে এই অপসাংবাদিকতার জন্য প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় না, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, ইউকেতে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনের জন্য শুধু প্রশ্নের মুখোমুখিই হতে হয় তা নয়, সেখানে নিয়মিত জরিমানা দিতে হয়, যা আমাদের দেশে হয় না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমালোচনা থাকবে, কারণ দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবেই। যে দায়িত্বে নেই তার সমালোচনা করার সুযোগও নেই। কিন্তু সমালোচনাটা যেন বস্তুনিষ্ঠ হয়। ড. হাছান বলেন, ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আজকে সাংবাদিক সমাজের একটি ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ট্রাস্ট থেকে সহায়তায় সবাইকে বিবেচনা করা হয়। যে সমস্ত সাংবাদিক নিয়মিত সরকারের বিরুদ্ধে লেখেন, কারণে-অকারণে লেখেন, লিখতে লিখতে হয়রান হয়ে যান, এমনকি সরকার পতনের জন্য তারা প্রেস ক্লাবের সামনে কিংবা অন্য কোনখানে বক্তৃতাও দেন গরম গরম, তাদেরকেও আমরা এই সহায়তা দিয়েছি এবং দিচ্ছি।’ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ুন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। শেষে সাংবাদিকদের মাঝে চেক বিতরণ করেন মন্ত্রী ও অতিথিরা।