শুক্রবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম সেশনে ২৮ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান জড়ো করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চ বিরতিতে যান প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার। দ্বিতীয় সেশনে তাকেই প্রথমে সাজঘরে ফেরায় বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলামের বলে এলগার তালুবন্দী হন লিটন দাসের গ্লাভসে। প্রোটিয়া অধিনায়ক সাজঘরে ফেরার আগে ৮৯ বলে করেন ৭০ রান। এলগারের বিদায়ে কিছুটা কমে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের গতি। তবে এরপরই অর্ধশতক তুলে নেন ২৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শুরু করা কিগান পিটারসেনও। যদিও ১২৪ বলে ৬৪ রান করে তাকেও শিকার হতে হয় তাইজুলের। আম্পায়ার সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে বাংলাদেশ আদায় করে পিটারসেনের উইকেট।
এরপর অবশ্য আর কোনো বিপদ হতে না দিয়ে চা বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় সেশনের ৩০ ওভারে ২ উইকেট হারানো প্রোটিয়ারা জড়ো করে ৯২ রান। যাতে ৩ উইকেটে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৯। পরে তৃতীয় সেশনে ফিরে দলের পক্ষে এই ইনিংসের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন ওয়ানডে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাও। সেইসঙ্গে রায়ান রিকেলটনকে সঙ্গী করে গড়েন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৮৩ রানের জুটি। হুমকি হয়ে দাঁড়ানো এই জুটিও ভেঙে ব্রেক থ্রু এনে দেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। নতুন বল নেয়ার আগে পুরনো বলেই দারুণ এক ডেলিভারিতে রিকেলটনকে ফেরান তাইজুল। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে উইকেট উদযাপনে মাতে টাইগাররা। গ্লাভসে লেগে স্লিপে ইয়াসিরের হারে ধরা পড়েন ক্যারিয়ার সেরা ৪২ রান করা রিকেলটন। ফলে ২৬৭ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এই উইকেটটি নিয়েই ৩৬ টেস্টে দেড়শতম শিকার ছোঁয়ার অপেক্ষায় আছেন টাইগার বাঁহাতি স্পিনার। আর মাত্র ৩টি উইকেট পেলেই দেশের হয়ে সাকিবের পর এই মাইলফলক স্পর্শ করবেন তাইজুল। এদিকে, তাইজুলের পথে হেঁটেই নিজের দ্বিতীয় উইকেটটিও শিকার করেন প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেয়া পেসার খালেদ আহমেদ। নতুন বল নিয়ে দ্বিতীয় ওভারে এসেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকানো বাভুমাকে। প্রথম স্লিপে অনেক টাফ নিচু হয়ে যাওয়া ক্যাচটি লুফে নেন নাজমুল হোসাইন শান্ত। সেইসঙ্গে শেষ হয়ে যায় দারুণ খেলতে থাকা বাভুমার ৬৪ রানের ইনিংসটি। ১৬২ বল মোকাবেলায় ৭টি চারের মারে ইনিংসটি সাজান প্রোটিয়া ওয়ানডে অধিনায়ক। আর এতেই ২৭১ রানের মাথায় পতন ঘটে স্বাগতিকদের পঞ্চম উইকেটের। যার ফলে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।
পরে অবশ্য আরও পাঁচটি ওভার খেলা হয়, যেখানে কোনও বিপদ হতে না দিয়ে প্রথম দিন শেষ করেন কাইল ভেরেইন্নে ও উইয়ান মুল্ডার। দুজনে অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ১০ ও শূন্য রানে। আর ৯০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২৭৮। অর্থাৎ এই সেশনে আরও দুটি উইকেট হারিয়ে আরও ৭৯ রান যোগ করে প্রোটিয়ারা। টাইগারদের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ৭৭ রানে ৩টি এবং খালেদ আহমেদ ৫৯ রানে ২টি উইকেট শিকার করেন।