প্রেসবিজ্ঞপ্তি : ড্যাফোডিল পরিচালিত এমিনেন্স কলেজ এর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ গতকাল ১২ মার্চ, ২০২২ তারিখে ধানমন্ডিতে ড্যাফোডিল এডুকেশন নেটওয়ার্কের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান এবং এমিনেন্স কলেজ এর নির্বাহী পরিচালক জনাব রথীন্দ্র নাথ দাস। বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস শবনম শরীফ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. আহমদ ইসমাইল মোস্তফা, চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদ, এমিনেন্স কলেজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ মশিউর রহমান বলেন, দেশমাতৃকার তৃষ্ণা মেটাতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কৃষ্টি-সংস্কৃতি চর্চা এবং নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এর মধ্যদিয়ে বিশ্বের বুকে মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ। উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, তোমরা বর্তমানে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে বসবাস করো। তোমাদের হাতে হাতে মুঠোফোন। ইউটিউব, ফেইসবুক এ তোমরা বন্ধুত্ব খোঁজো। আমি এসবের বিরুদ্ধে নই। কারণ তোমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের তৃষ্ণা আছে। মায়ের ভালোবাসা পাওয়ার তৃষ্ণা আছে। তোমাদের মধ্যে সাহচার্য পাওয়ার তাড়না আছে। মনে রেখো এই প্রতিষ্ঠানেরও একটা তৃষ্ণা আছে। এই প্রতিষ্ঠানের তৃষ্ণা হচ্ছে- তুমি এখানে পড়া-শোনা শেষ করে সফল মানুষ, ভালো মানুষ, মানবিক মানুষ হবে। উপাচার্য বলেন, গোটা বাংলাদেশটাইতো আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার চারণ ভূমি চাই। এটি আমার দেশের তৃষ্ণা। সুতরাং তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে- ভাষার ব্যবহারে, কৃষ্টির চর্চায়, সংস্কৃতির চর্চায়, বিজ্ঞান ভাবনায়, মুক্ত চিন্তায়-সব কিছুতে যেন এই দেশটাকে আমরা ভরিয়ে দিতে পারি। এই দেশমাতৃকা ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময় পাওয়া। আমাদের দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এই সুন্দর দেশ পেয়েছি। তাদের প্রতি আমাদের রক্তঋণ আছে। তোমরা আগামী দিনের বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তায়, অধ্যবসায়, লেখা-পড়ার চর্চার পাশাপাাশি সহশিক্ষায় নেশাতুর হয়ে উঠো। তার মধ্যদিয়েই আগামীর বাংলাদেশ আমরা গড়বো। তোমাদের হাত ধরে একটি আদর্শনিষ্ঠ মানবিক বাংলাদেশ তৈরি হবে। উপাচার্য আরও বলেন, আমরা কোনো ধনী বড়লোক রাষ্ট্রর হতে চাই না। যেই রাষ্ট্র আচমকা এক রাষ্ট্রর উপর রকেট হামলা করে ধ্বংস করে দেয়। আমরা মানবিক বাংলাদেশ হতে চাই, যেই দেশ লাখো শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়। যেখানে আমাদের পতাকার মর্যাদা উচ্চকিত হবে। তাহলেই ৩০ লাখ শহিদের রক্তঋণে আবদ্ধ হতে পারবো। তাদের আত্মা শান্তি পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমিনেন্স কলেজ এর সম্মানিত চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, শিক্ষার্থীদের আধুনিক ও তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের জন্য কাজের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিল্প-সংস্কৃতি চর্চা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ এর উপযোগী যোগ্য মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে মনোনিবেশ করতে পরামর্শ দেন। ড. মোঃ সবুর খান বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ড্যাফোডিল যে পরিবর্তন এনেছে তা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। এখন সময় এসেছে তথ্য প্রযুক্তির সকল বেস্ট প্যাকটিসগুলো রয়েছে সেগুলোর সমন্বয় সাধন করে অন্যের ভালো প্রাকটিস ও অভিজ্ঞতাগুলো অনুসরন করে আমাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।