হওয়া কয়েকজন যাত্রীকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে বলে মুক্তারপুর নৌ স্টেশনের ইনচার্য কবির হোসেন জানান।
তিনি বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েও হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে আগাতে পারছি না।”
আহতদের বরাত দিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, “লঞ্চটিতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী ছিল।”
মোবারক হোসেন বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর কাছাকাছি এলাকায় এসকে-৩ নামের একটি কাগো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। ঘটনার
খবর পেয়ে উদ্ধারকারী জাহাজ রওনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনায় কোনো যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
তিনি বলেন, লঞ্চের অনেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠেছে। কেউ নিখোঁজ রয়েছে কিনা ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল বলেন, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ ঘাট থেকে ৪০/৫০ জন যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পথে শীতলক্ষ্যা নদীর নির্মাণাধীন সেতুর কাছাকাছি একটি কার্গো জাহাজ ধাক্কা দিলে লঞ্চটি ডুবে যায়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সদর নৌ পুলিশের এসআই ইউনুস মুন্সী বলেন, লাইটার জাহাজ থেকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ডুবে যায়। অনেক যাত্রী সাতঁরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, তিনজন ডুবুরি নামানো হয়েছে। প্রবল বাতাসের কারণে উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে বেশকিছু হতাহত কিংবা নিখোঁজ রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাট এবং এর আশপাশে ভিড় করেছেন।
সুত্র:bd news