রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পোস্ট কোভিড টোটাল ফিটনেস প্রোগ্রাম চালুকরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ধ্যান ও যোগ ব্যায়ামে আমাদের এ অঞ্চল উর্বর ভূমি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মূলধারার বইগুলোতে যখন চলে এসেছে যে- ধ্যান কীভাবে আমাদের মনকে সুস্থির করে, হৃদরোগ থেকে শুরু করে বহু রকমের রোগ নিরাময়ে সহযোগিতা করে, স্বাস্থ্যকর জীবনে সহযোগিতা করে, তখন বিষয়টিকে আমরা আরও বেশি গুরুত্ব দিই। তিনি বলেন, কোয়ান্টামসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ধ্যানের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক ধরনের অসুস্থতা থেকে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ধ্যান অনেক বেশি সহায়ক হয়েছে আমার জন্য। কাজেই আমি মনে করি, সবার মধ্যে ধ্যান চর্চা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ঔপনিবেশিক কেরানি তৈরির শিক্ষা থেকে বের করে আনার পথ দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু তাকে সপরিবারে হত্যার পর সে পথ থেকে আমরা অনেক দূরে সরে গিয়েছিলাম। এরপর আমরা কেরানি তৈরির শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে গেছি। সে কারণেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। তার কন্যার নেতৃত্বে এখন সারা বিশ্বের সঙ্গে এক হয়ে আমরা বলতে চাই, শিক্ষায় রূপান্তর আনতে হবে এবং তা এখনই। আমরা সেই পথেই হাঁটছি। আমরা নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করছি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন মনোচিকিৎসক ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক।