দুই ধরনের সামরিক ড্রোনের প্রথম চালান রাশিয়ায় পাঠিয়েছে ইরান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরান সরকারের এক উপদেষ্টা ও মার্কিন প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা এ খবর জানিয়েছেন। তেহরানের কাছে শত ড্রোনের অর্ডার দিয়েছে মস্কো। এর অংশ হিসেবে চলতি মাসে প্রথম চালানের অস্ত্র পাঠানো হয়েছে। ইরানের সরবরাহ করা ড্রোনগুলো হচ্ছে মোহাজের-৬ ও শহিদ সিরিজের। ইরান সরকারের এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এ ড্রোনগুলো পরিচালনার প্রশিক্ষণ ইরানে গ্রহণ করছে রাশিয়ার অপারেটররা। মোহাজের-৬ সিরিজের ড্রোনগুলোর নজরদারির সক্ষমতা রয়েছে। আর শহিদ সিরিজকে ইরানের সবেচয়ে ক্ষমতাধর সামরিক ড্রোন বিবেচনা করা হয়। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, ইরানের তৈরি ড্রোনগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। আকাশ থেকে ভূমিতে হামলা, ইলেকট্রনিক হামলা চালাতে ও লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে এসব ড্রোন ব্যবহার হতে পারে। ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করে আসছে, এ যুদ্ধে কোনো পক্ষকে তারা সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করবে না। তবে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর আগে ড্রোন সরবরাহ করতে মস্কোর সঙ্গে সামরিক চুক্তি করার কথা জানায় রাশিয়া। চলতি মাসের বেশ কয়েক দিন ইরানের একটি বিমান ঘাঁটি থেকে ড্রোন সামগ্রি বহনকারী রাশিয়ার পরিবহন বিমান মস্কোর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর মধ্যে ইরানের সরবরাহ করা প্রথম চালানের ড্রোনে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। বিশ্বে ড্রোন প্রযুক্তিতে অগ্রদূতদের মধ্যে অন্যতম ইরান। অন্তত চার দশক ধরে দেশটির ড্রোন নকশা ও উৎপাদনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইয়েমেন, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন ও গাজায় বিভিন্ন গ্রুপের কাছে সামরিক ড্রোন সরবরাহ করে তেহরান। এদিকে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা দেশটির বিভিন্ন জায়গায় অঘোষিতভাবে তদন্তকাজ বন্ধ না করলে ২০১৫ সালে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা অর্থহীন হয়ে পড়বে।