শরীরে রক্তের পরিমাণ (বিশেষত লোহিত রক্তকণিকা) কম থাকলেই তাকে বলা হয় এনিমিয়া। এনিমিয়ায় আক্রান্ত মানুষেরা এমনিতে খুব দূর্বল থাকেন। অনেক সময় দূর্বলতার দরুন তাদের ত্বকে হলদেটে ভাব দেখা দিতে শুরু করে। এছাড়া নখ সাদাটে হয়ে ওঠে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এনিমিয়ার প্রভাবেও পরিবর্তন আসে। বিশেষত গরমে আপনার হৃদপিন্ড অন্যান্য সময়ের থেকে বেশি পরিশ্রম করে। এসময় শরীরে দূর্বলতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের মাধ্যমে দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে পারলে সহজেই এনিমিয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করা সম্ভব। তবে তীব্র গরমে এমনিতেই খাবারে অরুচি থাকে। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন নিয়ম করে জুস পান করা যায়। তবে শুধু ফলের জুস হলেই হবেনা। অন্তত সাদা চিনিমুক্ত এমন কোনো ফলের জুস খাওয়া উচিত যা দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। সৌভাগ্যক্রমে আমাদের হাতের নাগালেই কিছু ফল আছে যা দিয়ে জুস বানালে এনিমিয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করা সম্ভব। কি সেই ফল? চলুন দেখে নেয়া যাক।
এলোভেরার জুস:
চুল কিংবা ত্বকের যত্নে এলোভেরার কদর কমার নয়। মূলত এলোভেরা আপনার অস্থিমজ্জাকে চাঙা করে তুলতে সাহায্য করে। আর অস্থিমজ্জায় লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদিত হয়। তাই রোজ সকালে এক গ্লাস এলোভেরার জুস খেলে উপকার মিলবে।
আঙুরের জুস:
আঙুর বিশেষত কালো আঙুরে প্রচুর আয়রন পাওয়া যায়। আঙুরে থাকা পলিফেনল আমাদের দেহে শক্তির জোগান দেয় এবং গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তবে বেশি আঙুরের জুস খাওয়া একেবারেই ঠিক না। অনেক সময় অতিরিক্ত আয়রনের প্রভাবে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়া দেখা দেয়। কখনো কর্মস্থল থেকে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরলে আঙুরের জুস আরাম দিবে।
আমের জুস:
এনিমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে আয়রন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে এই গরমে আম একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল। আমে আয়রন এবং ফলিক এসিড থাকে যা দেহে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বিশেষত অন্তঃসত্ত্বা নারীদের এই দুটি উপাদান খুব জরুরী। তাই গরমে বেশি বেশি আম খাওয়ার চেষ্টা করুন।