চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নাসা কর্মকর্তার ওই মন্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বর্তাসংস্থা এএনআই। সংবাদ সম্মেলনে এই মুখপাত্র বলেন, নাসার এমন অভিযোগ এটাই প্রথম নয়, আগেও তারা চীনের কর্মসূচি সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন ও মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা অন্যান্য দেশের স্বাভাবিক ও যুক্তিসঙ্গত মহাকাশ কর্মসূচির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে, চীনও এর শিকার। দেশটির কর্মকর্তাদের এ ধরনের মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’ উল্লেখ করে চীন এর বিরোধিতা করে বলেও জানান তিনি। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থার প্রশাসক বিল নেলসন জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকাররে অভিযোগ করেছিলেন যে বেইজিং চাঁদ দখল করতে একটি সামরিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন- মহাকাশ কর্মসূচি পরিচালনা করতে চীন অন্যদের প্রযুক্তি চুরি করেছে। এ ছাড়া দেশটি চাঁদে অবতরণ করে উপগ্রহটিকে নিজেদের দখলে নিতে চাইছে বলেও দাবি করেন নেলসন।উল্লেখ্য, মহাকাশে কে এগিয়ে থাকবে, এ নিয়ে একসময় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিযোগিতা ছিলো। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের পর থেকে মহাকাশে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে নাসা। অনেক পরে রাশিয়া ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়ায়। এবার সেই লড়াইয়ে নতুন প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে চীনের নাম। কারণ, ইতিমধ্যে মঙ্গলের মাটিতে নেমেছে চীনের তিয়ানওয়েন-১। এরআগে ২০১৩ সালেই চাঁদের মাটি ছুঁয়েছিল তাদের মহাকাশযান। এবার মানুষবাহী যান চাঁদে পাঠাতে বদ্ধপরিকর চীন। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ তোলা হলো।