নতুন আট মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। এর আগে সোমবার দুপুরে নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন, বুধবার মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে। সেই রদবদলই হল বুধ-বিকেলে। মূলত রাজ্যের অপসারিত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মমতা চাইছিলেন, ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তি’র লোকজনকে সরকার পরিচালনায় নিয়ে আসতে। কিছুদিন আগে মন্ত্রীসভার রদবদল নিয়ে মমতা বলেছিলেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সাধন পান্ডে মারা গিয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে। তাদের দপ্তরগুলো প্রায় খালি পড়ে রয়েছে। আমার পক্ষে এতগুলো দপ্তর দেখা সম্ভব নয়। তাই আমরা মন্ত্রিসভায় একটা ছোট রদবদল করছি। এই রদবদলে কয়েকজন নতুন মন্ত্রী হওয়ার পাশাশি মন্ত্রিত্বও হারালেন কয়েকজন। নতুন করে পূর্ণমন্ত্রী হলেন বাবুল সুপ্রিয় সহ পাঁচজন। পূর্ণমন্ত্রী করা হয়েছে পার্থ ভৌমিক, বাবুল সুপ্রিয়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, উদয়ন গুহ, প্রদীপ মজুমদারকে। বীরবাহা হাঁসদাকে প্রতিমন্ত্রী থেকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। আরো স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে বিপ্লব রায়চৈধুরীকে। তাজমুল হোসেন ও সত্যজিৎ বর্মনকে করা হয়েছে প্রতিমন্ত্রী। চারজনকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিতে হবে মমতাকে। কারণ, মোট ৪৪ জনকেই মন্ত্রী করতে পারেন তিনি। মোট চারটি পদ খালি ছিল। নতুন আটজন নতুন মন্ত্রী নেয়া হয়েছে। আর বীরবাহা হাঁসদা আগে প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, এখন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন। ফলে মমতাকে চারজনকে বাদ দিতে হবে। আসানসোলের সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী, বাবুল সুপ্রিয় এর আগে মোদী মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ে বিজেপি ছেড়ে দেন। সেইসঙ্গে তিনি সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেন। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। এবার তিনি পূর্ণমন্ত্রী হলেন। বিজেপি ছাড়ার এক বছর পর রাজ্যে মন্ত্রী হলেন বাবুল। নতুন মন্ত্রীদের এবার দপ্তরবন্টন করবেন মমতা। তখন বোঝা যাবে, পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যে কারো মন্ত্রক বদল করা হয়েছে কি না। এবারের মন্ত্রীসভায় অপেক্ষাকৃত তরুণদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন মমতা। দলে প্রবীণদের মধ্যে রয়েছেন উদয়ন গুহসহ দুইজন।