মো: রওশন আলী (সাভার)প্রতিনিধি:
বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট আর দাম বাড়ায় সরিষার তেলে ঝুঁকছেন সাভারবাসী। তুলনামূলক সরিষার দাম কম হওয়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে এর বেচাবিক্রি। এতে বেড়ে গেছে সরিষার তেলের দামও।
শুক্রবার (১৩ মে) খুচরা বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাসখানেক আগেও সরিষার তেল ছিল একটি শৌখিন পণ্য। বিশেষ করে আচার তৈরি, ভর্তা ও শরীরে মাখার জন্য সরিষার তেল ক্রয় করতেন ক্রেতারা। তবে ঈদের কয়েকদিন আগে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিলে সরিষার তেল কিনতে শুরু করেন তারা। এ সুযোগে কোম্পানিগুলো ও পাইকারি সরিষার তেল বিক্রেতারা বাড়িয়ে দিয়েছে দাম।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সয়াবিন তেল সংকটে ভোক্তাদের একাংশ সয়াবিন ছেড়ে সরিষার তেলের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন। সয়াবিনের অস্থিরতা তৈরির আগে প্রতি লিটার খোলা সরিষার তেলের দাম ছিল ১৮০-২০০ টাকা পর্যন্ত। রোজার আগে এ দাম বেড়ে ২২০-২৫০ টাকায় গড়ায়। এতে আরেক দফা দাম বাড়ে ঘানিতে ভাঙা সরিষার তেলেরও। দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাইলে এক বিক্রেতা জানান, চাহিদা বাড়লে দাম বৃদ্ধি পাবে।
এ নীতিতেই বাজারে সরিষার তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে সরিষার তেল কিনতে আসা আশরাফ নামের একজন ক্রেতা জানান, রোজার শুরু থেকেই তিনি সরিষার তেল খেয়ে আসছেন।
সয়াবিন তেলে রান্না করা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও বর্ণ অটুট থাকে। তবে ঝাঁজে ও গন্ধে অতুলনীয় সরিষার তেল। কয়েক দশক আগেও দেশের বাজারে সরিষার তেল ছিল শীর্ষে। তবে সয়াবিন আমদানির পর থেকে সরিষার তেলের জায়গা দখল করে নিয়েছে সয়াবিন তেল।
গণমাধ্যমকে এমনটাই জানান সাভার নামাবাজারের মেসার্স মারজান অয়েল মিলসের ম্যানেজার শুকুর আলী। তিনি জানান, সরিষা বীজে সাধারণত ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত তেল থাকে।
এ হিসাবে এক কেজি সরিষা থেকে পাওয়া যায় ৪০০ গ্রাম তেল। ৪০ কেজি বা এক মণ সরিষা থেকে তেল মেলে ১৬ কেজি। এদিকে মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৌসুমের শুরুতেও প্রতি মণ সরিষার দাম ছিল মানভেদে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। এখন সেই সরিষা বাজারে বা কৃষক পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায়।