সাধারণ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি আসলে নির্বাচনকে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, নির্বাচন যখন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে। তখন বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার বলুন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলুন সে সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন।
শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে টেলিভিশন রিপোর্টাস ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) এর আয়োজনে স্বাধীনতার ৫০ বছর ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে টেলিপ্রেস-ট্রাব মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ট্রাবের সভাপতি সালাম মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন৷ আকাশ-বেক্সিমকো কমিউনিকেশন্সের সিএফও মো. লুৎফর রহমান, নভোএয়ারের এমডি মফিজুর রহমান, কবি সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রাজু আলীম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রাবের সাধারণ সম্পাদক অনজন (অঞ্জন) রহমান ও উপস্থাপনায় ছিলেন খন্দকার ইসমাইল। বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কেন এতো ভয় পাচ্ছে বলে সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন। এবিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকার করার কোনো সুযোগ নেই। যখন নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। তখন বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার বলুন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলুন সে সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।
দেশে যেসমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ হয়েছে। অনেকগুলো নির্বাচনে বিএনপিও জয় লাভ করেছে। আসলে বিএনপি নির্বাচনটাকে ভয় পায়। আসলে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেতো তাই নির্বাচনকে ভয় পায়। তাদের দুই নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুজনই যেহেতু নির্বাচন করতে পারবে না সেজন্য তারা নির্বাচন নিয়ে উৎসাহী নয়। সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের বর্তমানে যে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সেটা না কি সঠিক না এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৩ বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে দেশ এগিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ৬০০ ডলার থেকে ২৬০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় যে এতো বেড়েছে এটি আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাংকসহ সবাই স্বীকার করেছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ভারত, পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। একই সঙ্গে করোনার মধ্যে মাত্র ২০ দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে তারমধ্যে বাংলাদেশ একটি। এটি পৃথিবীর সব অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানসহ সবাই স্বীকার করেছে। তিনি বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের এগুলো স্বীকার করতে কষ্ট হয়। দেশের মানুষের যে অগ্রগতি হয়েছে এটি তাদের পছন্দ নয়। তারা চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক। তাদের অর্থমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। তাহলে আমরা বাহির থেকে সাহায্য খয়রাত পাবো না। এই যাদের মানসিকতা তাদেরতো অগ্রগতি পছন্দ হয় না। সেজন্য এগুলো নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর কথা বলছেন তারা।