বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এবং আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) এর যৌথ উদ্যোগে ‘‘টেকসই ফসল উৎপাদন’’ বিষয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবজনাব মোঃ সায়েদুল ইসলাম। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে রাজধানীর একটি হোটেলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থা প্রধানগণ ও উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিএডিসি’র চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) জনাব এ এফ এম হায়াতুল্লাহ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব জনাব মোঃসায়েদুল ইসলাম বলেন খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, এসডিজি এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন এবং বাংলাদেশকে আরো সমৃদ্ধশালী ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কৃষির উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। কৃষি উন্নয়নের গোড়াপত্তন শুরু হয় বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আমলে। তাঁর শাসনামলেই আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা, বিদেশ হতে উন্নতমানের বীজ আমদানি এবং আধুনিক সেচ ব্যবস্থা প্রবর্তিতহয়েছিল। স্বাধীনতার পর পরই বঙ্গবন্ধু সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালের ৩১ মে বিএডিসি’র কৃষি ভবন পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তাদের পরামর্শ প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে আরো সুদৃঢ়ভাবে বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধারাবাহিকভাবে কৃষিখাতে সহায়তা প্রদান করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষি উপকরণের সকল উপকরণ সার, মানসম্পন্ন বীজ সুলভ মূল্যে যথাসময়ে কৃষকদের নিকট বর্তমান সরকারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, আমাদের জীবন যাত্রার সঙ্গে ধান উৎপাদনের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। তবে ফল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারেনি। আমাদের কৃষি ব্যবস্থাপরিবর্তিত জলবায়ু, অধিক জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, চাহিদার তুলনায় মানসম্পন্ন বীজের অভাবসহ বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনে বিএডিসি সরকারি সংস্থা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেই চলছে। তিনি আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কৃষকদের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মানসম্পন্ন ধানের নতুন জাত উদ্ভাবন, তেল জাতীয় ফসলের নির্ভরশীলতা কমানো, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সাথে সাথে দক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি গবেষণা কার্যক্রম আরো বেগবান করার জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশেষ করে ইরিকে আরো ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ করেন।