ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নার্সিং কলেজগুলোর বিএসসি ইন নার্সিং (পোস্ট বেসিক) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় নার্সিং কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ছয়জনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। রিমান্ডকৃদের মধ্যে আসামি নার্সিং কলেজের স্টাফ মো. আরিফুল ইসলাম এবং অধ্যক্ষ মোছা. কোহিনুর বেগম (৬৫), প্রশিক্ষক ও শিক্ষক ফরিদা খাতুন (৫১), প্রশিক্ষক মোছা. মনোয়ারা খাতুন (৫২), প্রশিক্ষক ও শিক্ষক মোসা. নার্গিস পারভীন (৪৭), এবং তাদের সহযোগি ও নার্সিং কলেজের স্টাফ মো. ইসমাইল হোসেন (৩৮) দের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ বিন কাশেম আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। এর আগে গত ২১ আগস্ট রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১০ এর অভিযানে মহাখালী, ধানমন্ডি ও আজিমপুর এলাকা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের হোতাসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রের কপি এবং ৯টি মোবাইল। র্যাব জানায়, গ্রেপ্তাতরকৃতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৯৮টি নার্সিং কলেজের মধ্যে বর্তমানে ৩৮টি কলেজে পরীক্ষা চলমান। প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন প্রশ্ন প্রণয়নকারী নিয়োগ দেওয়া হয়। যারা দুই সেট আলাদা প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে থাকেন। পরবর্তীতে প্রশ্নপত্রগুলোকে যাচাই-বাচাই করার জন্য একটি মডারেটর টিম নিয়োগ করা হয়। যাদের কাজ হচ্ছে প্রশ্নপত্রগুলো থেকে পরীক্ষার জন্য এক সেট পরিপূর্ণ প্রশ্নপত্র তৈরি করে সেগুলো সিলগালার মাধ্যমে চিকিৎসা অনুষদের ডিনের কাছে জমা দেওয়া। পরবর্তীতে চিকিৎসা অনুষদের ডিন বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রশ্নপত্র সরবরাহের জন্য ৪ সদস্যদের একটি গোপনীয় টিম নিয়োগ করে থাকেন। যারা নির্বাচিত প্রশ্নপত্রটি প্রিন্টিং এবং প্যাকিংয়ে নিযুক্ত থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী প্রশ্নপত্রগুলো প্রিন্ট করে আলাদা আলাদা প্যাকিং করে তার ওপরে কেন্দ্রের নাম লিখে সিলগালা করে দেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই প্রশ্নপত্রগুলো বিভিন্ন কেন্দ্রে বিতরণ করে থাকেন।