রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভা আয়োজিত হয়। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি তাতে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমলে ২০০৬ সালে রিজার্ভ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলারের কিছু ওপরে। সেটা ছিল ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৬ বিলিয়নে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি আমরা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রতিবছর রিজার্ভ বেড়েছে। সেই পরিমাণ আমরা ৪৮ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত নিয়ে গেছি। এখন আবার কিছুটা কমেছে। রিজার্ভ কমার নেপথ্য কারণ দেখিয়ে সরকার প্রধান বলেন, করোনাকালে আমাদের আমদানি বন্ধ ছিল। মহামারি একটু শিথিল হলে আমাদের তা করতে হয়েছে। এটা করতে গিয়ে রিজার্ভ খরচ হয়েছে। উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়েও ডলার ব্যয় হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশের মানুষকে বিনা পয়সায় করোনার ভ্যাকসিন দিয়েছি আমরা। সেগুলোর আনতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়েছে। ভ্যাকসিন দিতে সিরিঞ্জ থেকে শুরু করে যা যা দরকার-তার সবই বিদেশ থেকে কিনতে হয়েছে। এ পরিস্থিতিতেও আমদানিতে কার্পণ্য ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে অনেক শিল্প গড়ে উঠবে। সেগুলো উৎপাদনে গেলে প্রচুর মানুষ লাভবান হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের রিজার্ভ থাকে কেন, যেন আপৎকালীন ৩ মাস খাদ্যশস্য কেনা যায়। অর্থাৎ আমদানি করার মতো অর্থ আমাদের হাতে থাকে। আমাদের এখন যে রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে ৩ মাস কেন, ৬ মাস, ৯ মাসের খাবার আমরা কিনে আনতে পারব। স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাহুল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ অনেকে।