সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। দেখা যায়, সারাদিনের খাটনি সেরে রাতে আমরা ঘুমাতে যাই। ঘুম শরীরের সব ক্লান্তি দূর করে দেয়। শুধু তাই নয়, ঘুমের মধ্যেই শরীর নিজেকে সারিয়ে নেয়। তাই বিশেষজ্ঞরা রাতে ৭ ঘণ্টার বেশি সময় ঘুমাতে বলেন। তবে কেবল রাতের ঘুমেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। সকালে ওঠার পরও দিনের শুরুটা করতে হবে দারুণভাবে। নইলে ঘটে বিপত্তি ! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাত কাটিয়ে দিনের শুরুর সময়টা ভালো হওয়া উচিত। কারণ সকালের শুরুটা যেমন হবে, ঠিক তেমনভাবেই কাটবে সারাদিন। তাই শুরুর সময়টা ভালোভাবে কাটাতে হবে। এক্ষেত্রে সকালে এমন কোনো কাজ করা যাবে না যাতে সারাদিন সমস্যা দেখা দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বহু পুরুষ সকালের শুরুতেই এমন কিছু কাজ করে ফেলেন যাতে দেখা দেয় সমস্যা। তাই সকালে ওঠার পর প্রতিটি পুরুষ মানুষকে এই কয়েকটি বিষয় এড়িয়ে যেতে হবে। তবেই ভালো থাকা যাবে।
>> আমাদের এখনকার জীবনে ফোন খুবই প্রয়োজনীয়। তবে সারাদিন ফোনের মধ্যে ঢুকে থাকার কোনও কারণ নেই। অনেকেই সকালে উঠে সরাসরি ফোন দেখতে শুরু করে দেন। এতে সমস্যার আশঙ্কা দেখা যায়।
>> ব্যস্ততা জীবনে থাকবেই। কিন্তু সেই ব্যস্ততার জন্য ব্রেকফাস্ট না করার কোনো কারণ নেই। কারণ ব্রেকফাস্ট না করলে শরীরে দেখা দেয় নানা সমস্যা। এক্ষেত্রে গ্যাস থেকে শুরু করে অ্যাসিডিটি দেখা দিতে পারে। এমনকি অপুষ্টিতেও ভুগতে পারেন।
>> প্রতিটা দিনের প্ল্যান সেদিন সকালেই করে ফেলতে হবে। এবার সারাদিন সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে পারলে কোনো সমস্যা দেখা দেয় না। তবে ভাবা এক আর কাজ অন্য হলে সমস্যা। সেক্ষেত্রে দিনটা খারাপভাবে যায়।
>> সকালে উঠে গোসল না করা একেবারেই উচিত হবে না। কারণ গোসলের মাধ্যমে শরীরে ফ্রেশ লাগে। তাই আপনি দিনের শুরুতেই গোসল করে নিন। ফলে সারাদিন শরীরের পাশাপাশি মনও থাকবে ভালো।
>> মানুষের মনই তাকে বাঁচতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে সকালের শুরুতেই যদি খারাপ কোনো ভাবনা মনের উপর প্রভাব ফেলে তবে দেখা দিতে পারে মহা সমস্যা। তাই সকাল বেলায় নেতিবাচক চিন্তা ছাড়তে হবে।