চাল, ডাল, আটা, চিনি, ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার চাক্তাই আর খাতুনগঞ্জে। জ্বালানি তেল ও ডলারের দাম বাড়ায় বন্দরনগরীর নিত্যপণ্য বাজারের এমন বেহাল অবস্থা, বলছেন ব্যবসায়ীরা।ভোগ্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় দুর্বিষহ হয়ে উঠছে চট্টগ্রামের জনজীবন। শিগগির দাম কমবে এমন সম্ভাবনাও নেই। জ্বালানির সঙ্গে ডলারের দাম বৃদ্ধিকে জোড়া আঘাত মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আহসান পারভেজ খালেদ বলেন, “বেশির ভাগ প্রোডাক্ট হচ্ছে বাইরের, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রত্যেকটা পণ্যের উপর এর প্রভাব পড়ছে।” চট্টগ্রামের বৃহত্তম চালের পাইকারি বাজার চাক্তাই। যেখানে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে চার থেকে পাঁচ টাকা। মোটা চাল সাড়ে ৩৬ আর সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা জানান, ডলার এবং তেলের বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। এর প্রভাবটা বাজারের উপর পড়ছে। প্রত্যেকটা মোটা ২৮ চাল কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন চাক্তাইয়ের আড়তদারেরা। চট্টগ্রাম রাইসমিল মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “মিলের খরচ বেড়ে যাওয়াতে প্রতিকেজিতে প্রায় এক থেকে দেড় টাকা বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে চাই যে, অতিসত্তর ইম্পোর্টের মালের ট্যাক্স ফ্রি করে দেওয়া হোক।” পাইকারি বাজারের চেয়ে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে দামের প্রভাব চোখে পড়ার মতো। সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম গড়ে বেড়েছে ১০ টাকার মতো। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে সর্বাধিক ৫০ টাকার মতো। ব্যবসায়ীরা জানান, তেল, পেঁয়াজ, আদা-রোসন সবগুলোই গত সপ্তাহের চেয়ে গড়ে ১০-২০ করে বেড়েই চলছে। মুরগীতে ৫০ টাকা বেড়েছে, গত সপ্তাহের ১৬০ টাকার স্থলে এখন ২১০ টাকা চলছে।” জ্বালানির দাম বাড়লে তার প্রভাব পরে সামষ্টিক অর্থনীতিতে। জ্বালানি তেলের সঙ্গে ডলারের দামও অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় আমদানি পণ্যের ওপর প্রভাব পড়েছে মাত্রাতিরিক্ত।